#কলকাতা: ২১ জুলাই আর ধর্মতলা। গত কয়েক বছর ধরে এই দুটি সমার্থক হয়ে গিয়েছে। যদিও করোনা আবহে সেই অবস্থার বদল হয়েছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সমাবেশ ঘিরে যে উদ্দীপনা লক্ষ্য করতে পারা যায় ধর্মতলায় এদিন তার কিছুই ধরা পড়ল না।
ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে যেখানে দুটি মঞ্চ হয়, সেখানে ফাঁকা। ১৩ জন শহিদের তালিকা দিয়ে একটা শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি করা হলেও প্রতি বারের সেই উন্মাদনা নেই। বাম সরকারকে পরাজিত করে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই বছরে অবশ্য ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশের মঞ্চ হয়নি। সে বছরে অবশ্য ব্রিগেডের মাঠে সমাবেশ হয়েছিল। তবে ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে উন্মাদনা ছিল। কিন্তু করোনা আবহে এবার সেই উন্মাদনা নেই। তবে ধর্মতলা চত্বরে চোখে পড়ার মতো ছিল শাসক দলের পতাকা। যদিও কোনও কাট আউট নেই। তৈরি করা হয়েছিল ছোট মঞ্চ। সেখানেই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম-সহ শাসক দলের নেতারা।
ভার্চুয়াল ২১ জুলাই পালন করা হলেও কলকাতার বেশ কয়েক জন সদস্য সমর্থক এসে হাজির হন ধর্মতলায়। চেনা দিনের অচেনা ছবি দেখে অবাক তারাও। এরকমই একজন নীলরতন কুন্ডু বলেন, "ডালহৌসি চত্বরেই আমার অফিস। তাই আমি আগে ভাগেই এসে জায়গা নিতাম। যতটা কাছে থেকে নেত্রীর বক্তব্য শুনতে পারি ও দেখতে পারি। এবার আর তা হল কই। তবে অভ্যাস মতো সকালে এসেছি। দূর থেকে দাঁড়িয়ে শহিদ বেদীতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন দেখলাম।"
একই বক্তব্য অশোক দাসের। তিনি বলেন, "আগামী বছর নির্বাচন। দলনেত্রী কি বলেন তা শোনার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। শুনতে অবশ্যই পেলাম।কিন্তু সামনাসামনি থেকে শোনা সেই উত্তেজনা পেলাম না।" এটাই ছিল ২১ জুলাইয়ের ধর্মতলার চেহারা। এদিনও অবশ্য নিয়ম মেনেই এসেছেন সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরুপ বিশ্বাস, মালা রায়, শান্তনু সেন-সহ দলের নেতা-নেত্রীরা। প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, করোনার প্রভাবে সভা করতে না পারার দুঃখ অবশ্যই একটা আছে ৷ তবে ভার্চুয়াল সভা করেও সকলের কাছে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব। আগামী বছর আরও বেশি আসন নিয়ে ফিরে ২১শে জুলাইয়ের সমাবেশ করবেন তারা।
আবীর ঘোষাল
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Mamata Banerjee