#কলকাতা: কুমোরটুলি থেকে ঠাকুর গেল কবরডাঙ্গা চক্রবর্তী বাড়িতে। এবছর এটাই প্রথম। শিল্পী মিন্টু পাল রবিবার প্রতিমা তুলে দিলেন ওই পরিবারের হাতে।
করোনা ভাইরাসের আবহে এবার দুর্গা পূজো আদৌও হবে কি না সেই ধন্দে রয়েছে বাঙালি। হলেই বা কেমন করে হবে, কত বড় হবে, এই ধরনের হাজারো প্রশ্ন সবার মনে মনে। অন্যান্য বছরের মতো এবারও কি হাজার হাজার মানুষ ভিড় করবে পুজো মণ্ডপ গুলোতে? বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, করোনার প্রকোপে অর্থনীতিতে মন্দার কালো মেঘ ঘনিয়েছে। তার ফলে পুজো কমিটি গুলো কত বড় করে আয়োজন করতে পারবে তা নিয়ে সংশয়ের রয়েছে সকলেই।কুমোরটুলিতে প্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু হলেও মৃৎ শিল্পীদের দাবি বাজার এবার খুব খারাপ।
এই সবের মধ্যে রবিবার শিল্পী মিন্টু পালের স্টুডিও থেকে প্রথম ঠাকুর গেল হরিদেবপুরের গোবরডাঙার চক্রবর্তী বাড়িতে। কিন্তু পুজো এবার অনেক দেরিতে। ক্যালেন্ডারের হিসেব বলছে পুজো শুরু হতে এখনও দুমাস বাকি । ওই পরিবারের সদস্য সোমা চক্রবর্তী চক্রবর্তী বলেন, "এবার চারিদিকে করোনা নিয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাকে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া ভাদ্র মাস শুরু হয়ে যাবে। তারপর আবার আশ্বিন মাস এবার মল মাস। আর কার্তিক মাসের শুরুতেই পুজো। তখন প্রচন্ড হুড়োহুড়ি পড়ে যাবে তাই এখন থেকেই মাকে নিয়ে যাচ্ছি।"
শিল্পী কার্তিক পাল এই পরিস্থিতির মধ্যে ঠাকুর ডেলিভারি দিতে পেরে ভীষণ খুশি। তিনি বলেন, 'আমার কাছে স্টুডিও থেকে দেবী দুর্গার বিদায় সব সময় আনন্দের। তবে এবার ব্যাপারটা আরও বেশি আনন্দের। কারণ, করোনা জন্য এবার পুজো নিয়ে সবাই একটু ধন্ধে রয়েছে। তার মধ্যে ঠাকুর ডেলিভারি দিতে পেরে ভীষণ ভালোলাগছে।' কিন্তু এত আগে থেকে প্রতিমা সম্পূর্ণ তৈরি করার ফলে পুজো পর্যন্ত তা কতটা ঠিক থাকবে? মিন্টুবাবুর দাবি, যেহেতু এই প্রতিমাটি ফাইবারের তৈরি, তাই কোনও রকম ক্ষতি হবে না। আর চক্রবর্তী পরিবার এখন থেকেই পুজো শুরু করে দিতে চাই। সোমা চক্রবর্তী বলেন, 'আমাদের রোজ নিত্য পূজা হয়। পুরোহিতকে দিয়ে মায়ের প্রতিষ্ঠা করে এখন থেকেই নিয়মিত দুর্গাপূজা শুরু করে দেব।'
Soujan Mondal
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Durga Puja 2020