#কলকাতা: টলিউডে সুযোগ করে দেওয়ার নামে কলকাতার বুকে বড়সড় প্রতারণা। টলি অভিনেত্রীর প্রতারণা চক্র ফাঁস। কেউ পেরিয়েছেন কলেজের গন্ডি, কেউ আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। জীবনের সামনে হাজারো সুযোগের মধ্যে দুই চোখে স্বপ্ন নায়ক বা নায়িকা হওয়ার। জীবনে কর্ম জীবনে পা দেওয়ার আগেই দু'চোখ ভরে স্বপ্ন নিজেকে টেলিভিশনের পর্দায় দেখার।
সুযোগের হাতছানি এসেছিল বিভিন্ন সময় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় বা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে।সেখানেই উৎসাহী বন্ধুরা যোগাযোগ করেন। তার ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। এক বা দু'জন নয় প্রতারিত হয়েছেন কুড়িজনেরও বেশি। নামি প্রোডাকশন হাউসে সিরিয়াল ও সিনেমায় সুযোগ দেবার নাম করে হাজার হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগ ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জনকে। বাকি ৪ অভিযুক্ত পলাতক।
চারু মার্কেট থানায় বেশ কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ জমা পড়ছিল। প্রত্যেকেরই অভিযোগ, মুখ্য চরিত্র পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কখনও এক লক্ষ আবার কখনও চার লক্ষ টাকা নিয়েছেন অভিযুক্তরা। চারু মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরেই বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছু কাগজপত্র। জয়েনিং করানোর নাম করে বিভিন্ন চিঠিতে নামী চ্যানেল ও প্রোডাকশন হাউসের লোগো ব্যবহার করে জাল নথি তৈরি হত বলে খবর পুলিশ সূত্রের। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তিতাস ঘোষ ও সুজয় ভুঁইয়া নামে দু'জনকে। তিতাস নামী চ্যানেলে বেশ কিছু জনপ্রিয় সিরিয়াল করার ফলে পরিচিত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিরিয়ালে অভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়ার নামে বড়সড় প্রতারণা চক্র চলছিল গত তিন বছর ধরে। শুধু কলতাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না প্রতারণা, মফঃস্বল ও প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা তরুণ-তরুণীদের রঙিন স্বপ্ন দেখানো হয়। তিতাস ঘোষ, সুদীপ্ত ব্যানার্জি, সুজয় ভুঁইয়া, পারমিতা ভুঁইয়া, সৌমিক স্যানাল, সুশান্ত ভট্টাচার্য-সহ আরও কয়েক জনের নামে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ এবং ৪৭১ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তিতাস ঘোষ ও সুজয় ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করেছে চারু মার্কেট থানা। রবিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হলে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
Susovan Bhattacharjee