#কলকাতা: বাংলার ১৫ জন শ্রমিক কাজ করতে গিয়ে আটকে গিয়েছেন অসমে। তাদের খাবারের ভাঁড়ার শূন্য। বিদ্যুতের কাজ করতে একটি সংস্থার হয়ে তারা বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে অসমে গিয়েছিলেন। লকডাউনের পর থেকেই গৃহবন্দি হয়ে আছেন বাংলার এই ১৫ জন শ্রমিক।
অসমের বঙ্গাইগাও শহরের কাছেই সর্ব গ্রাম সেখানেই আপাতত গৃহবন্দি এই ১৫ বাঙালি। তাদের মজুদ অর্থ ও খাবার প্রায় শূন্য। এরকম পরিস্থিতিতে আগামী দিন কীভাবে কাটাবেন তাতেই আশঙ্কায় ভুগছেন এই বাঙালি শ্রমিকরা। রাজ্যের প্রশাসনের কাছে তাদের আবেদন যত দ্রুত সম্ভব ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক।
৬ মাস আগে অসমে বিদ্যুতের কাজ করতে একটি সংস্থার হয়ে গিয়েছিল বাংলার বিভিন্ন জেলার ১৫ জন শ্রমিক। এরমধ্যে কলকাতার ৩ জন শ্রমিক রয়েছেন এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা ও বর্ধমান-সহ বিভিন্ন জেলার শ্রমিকেরা রয়েছেন।
উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা দেব কুমার দাস জানান, একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার হয়ে অসামে বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিকরণের কাজ করার জন্য গিয়েছিলেন। ৬ মাস আগে থেকেই একটি রেলের প্রজেক্টে কাজ চলছিল । এছাড়াও অসাম স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের কাজ ও করছিলেন তারা। ভেবেছিলেন ৫-৭ দিন লকডাউন হবে। এখন যে কি করবেন তাই ভেবে কুল পাচ্ছেনা তারা ৷ খাবার-দাবার যা ছিল প্রায় সব শেষ।
কলকাতার বেহালার বাসিন্দা শমীক রায়চৌধুরী বলেন, ‘বাংলার বাইরে যে সমস্ত শ্রমিকরা আটকে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তাদের জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছেন। মহারাষ্ট্রের শ্রমিকদের খাবারের ব্যাবস্থা করেছেন। দিদি যদি আমাদের জন্য কিছু ব্যবস্থা করেন তাহলে প্রাণে বেঁচে যাই।দিদির কাছে আমাদের প্রার্থনা আমরা ঘরে ফিরতে চাই বাংলায় ফিরতে চাই।’
বর্ধমানের বাসিন্দা বিদ্যুৎ শ্রমিক রঞ্জিত বলেন, ‘আমরা মোট ১৫ জন শ্রমিক এখানে রয়েছি বাংলার। এদের মধ্যে অনেকের বাড়িতেই বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছে অনেকের আবার স্ত্রী এবং ছোট বাচ্চা রয়েছে। তাই যত দ্রুত আমরা ঘরে ফিরে যেতে পারি ততই মঙ্গল। না হলে পরিবারগুলো কেউ বাঁচাতে পারবো না আমরাও বাঁচবো না।’
বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে ১৫ জন শ্রমিক অসামের সরভোগ এলাকায় আটকে আছেন। এদের মধ্যে কলকাতা মোমিনপুর ও বেহালা সহ ৩ জন শ্রমিক রয়েছে শহরের।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus, COVID-19, Labourers In Assam, Lockdown