#কলকাতা: পরিচয় গোপন রেখেই চলত কিডনি পাচারের কারবার। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, প্রতি কিডনি তিরিশ লক্ষ টাকায় বিক্রি হলেও দাতা এবং ক্রেতা, কেউই কাউকে চিনতেন না।
শুক্রবার কিডনি পাচারকাণ্ডে কিংপিন রাজকুমার রাওয়ের পর গ্রেফতার হল প্রধান সহযোগী দীপক কর। এখনও রাজ্যে আরও এজেন্টের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
নিজের কিডনি বিক্রি করে জড়িয়ে পড়েছিলেন কিডনি পাচারচক্রে। কয়েক বছরের মধ্যেই ফুলেফেঁপে ওঠে টি রাজকুমার রাও-এর এই কারবার। কীভাবে অল্প সময়ের মধ্যে তা সম্ভব হয়েছে?
তদন্তে নেমে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন,
- কিডনি পাচারে গোপন রাখা হত পরিচয়
- প্রতি কিডনি বিক্রি হত প্রায় ৩০ লক্ষ টাকায়
- (তবে এই কারবারে) দাতা ও ক্রেতা কেউ কাউকে চিনতেন না
- কে কিডনি দিচ্ছেন বা কে নিচ্ছেন, কেউ জানতেন না
- কিডনি দাতাকে দেওয়া হত ৫ লক্ষ টাকা
- দীপকের মতো এজেন্টরা পেতেন ৫ লক্ষ টাকা
- রাজকুমার, চিকিৎসক ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ পেতেন ২০ লক্ষ টাকা
শিলিগুড়িতে অশোক সিকদার নামে এক এজেন্ট গ্রেফতার হওয়ার পরই প্রকাশ্যে আসে কিডনি পাচার চক্র। তার কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে টি রাজকুমার রাও ছাড়াও চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্য লোকজন ও নার্সিংহোমের নাম। রাজকুমারের পর শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় তাঁর প্রধান সহযোগী দীপক করকে।
এখনও ডি সন্তোষ নামে একজনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এদিকে বারাসত আদালত দু'দিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করার পর দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে দীপক করকে। দিল্লি পুলিশের আবেদনে দু'দিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেছে বারাসত আদালত। এখনও পর্যন্ত এই কেসে মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এদিনই দিল্লি থেকে কিডনিকাণ্ডে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ ধৃত অ্যাপেলো হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসকের ব্যক্তিগত সচিব ৷