#কলকাতা: বন্দর এলাকার রাস্তা নিয়ে চাপানউতোর শুরু রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে। রাজ্যের অভিযোগ, বারবার বলা সত্ত্বেও বন্দর কর্তৃপক্ষ রাস্তা সারাই করছেনা। রাজ্যের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বন্দর। তাদের বক্তব্য ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ চলছে রাস্তা সারাইয়ের। তবে তারাতলায় বন্দরের গুদামে আগুন লাগার পরে রাস্তা খারাপের জন্যই পৌছতে সমস্যায় পড়তে হয় দমকলকে। তারপরেই বন্দরের ভূমিকার সমালোচনা করা হচ্ছে রাজ্যের তরফে।
রাস্তা না নদী তা দেখে বোঝার উপায় নেই। তবে নদীর জলের মতোই স্রোতে ভাসতে ভাসতে প্রতিদিন চলছে সাইকেল-বাইক-ট্যাক্সি থেকে ট্রলার। গত বুধবার তারাতলায় ট্রান্সপোর্ট রোড এলাকার একটি গুদামে আগুন লেগে যায়। আর সেই আগুন নেভাতে গিয়েই বিপাকে পড়তে হয় দমকলকে। খারাপ রাস্তা পেরিয়ে গুদামে পৌঁছতে সময় লাগে দমকলের। শেষমেষ রাস্তায় জমে থাকা জল দিয়েই কাজ চালাতে হয় দমকলকে।
রাস্তার এই বেহাল দশা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দমকলমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। শুধু ট্রান্সপোর্ট রোড নয়। বন্দর এলাকার একাধিক রাস্তার এই হাল নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে গাড়ির চালক থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
রাস্তার এই হাল নিয়ে বন্দরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও, বন্দর কর্তৃপক্ষ তা উড়িয়ে দিচ্ছে। বন্দরের বক্তব্য -
সাল ২০১৬-১৭
কোল ডক রোড
সোনাই রোড
সোনারপুর রোড
১৫ কোটি টাকা দিয়ে এই রাস্তা সারাই করা হয়েছে
সাল ২০১৭-১৮
ট্রান্সপোর্ট ডিপো রোড
অয়েল ইন্সটলেশন রোড
নিউ রোড
স্ট্র্যান্ড্র ব্যাঙ্ক রোড
কাঁটাপুকুর রোড
২৪ কোটি টাকা দিয়ে এই রাস্তাগুলি মেরামতির কাজ চলছে
বন্দর কর্তাদের যুক্তি- বন্দরের হাতে থাকা রাস্তা মেরামতির কাজ যথাযথ ভাবেই করা হচ্ছে। রাস্তা খারাপের দায় একা তাদের নয়। রাজ্যের হাতে থাকা রাস্তা সারাই করা হচ্ছে না। বন্দরের এই যুক্তি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন বন্দরের বিধায়ক তথা রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, বন্দর কর্তৃপক্ষ রাস্তা নিয়ে বারবার আলোচনাই করে, কিন্তু কোনও কাজ করে না।