#জলপাইগুড়ি: বাঙালির নীতি বাক্যেই রয়েছে মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে! কিন্তু এ বার হচ্ছে ঠিকের উল্টো...!! এখনও উত্তরে তেমনভাবে পারা পতন হয়নি। একদিকে চিন্তায় লেপ ব্যবসায়ীরা, অন্যদিকে চিন্তায় গরম পোশাক বিক্রেতারা। শীত পড়তেই লেপের সেই কদর আর নেই বাংলার গ্রামে গঞ্জে।
বাজারে এখন কম্বলের চাহিদাই বেশি। এ জন্য লেপের কারিগরদের কাজ তেমন নেই। আগে এলাকায় দেখা যেত হালকা রোদে বসে লেপের তুলো ধুনছেন বিহার অথবা ভিন্ন রাজ্য থেকে আসা কারিগররা। সেই চিত্রহার গ্রামবাংলায় তেমন চোখে পড়ে না।
আরও পড়ুনঃ কী কাণ্ড! পুষ্পার 'ও আন্তভা'কে ইউটিউবে ছাপিয়ে গেল ভুবন বাদ্যকরের কাঁচা বাদাম, শোরগোল
ডিসেম্বর এসে গেলেও এ বছর উত্তরবঙ্গে তেমনভাবে শীতের প্রভাব পড়েনি। রাস্তার ধারে বসে আগুন জ্বেলে উষ্ণতা নেওয়া, সাত সকালে চায়ের দোকানের পাশে আগুন লাগিয়ে চা পান করা এই চিত্র যেন এবছর ইতিহাস। একদিকে শীতের পোশাক নিয়ে বসেছে বিক্রেতারা, তেমনভাবে বিক্রয় নেই তাদের। অন্যদিকে লেপ এবং তোষক বানাতে এসেছে ভিন্ন রাজ্য থেকে কারিগররা, তাদেরও এবার মুখে হাসি নেই। কারণ, শীত না পড়লে তাদের ব্যবসা ভাল হয় না।
আরও পড়ুনঃ স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করেছিলেন, চরম নৃশংসতার শিকার স্ত্রী, জানলে ভয়ে শিউরে উঠবেন
প্রতি বছরই অক্টোবর মাসে তারা আসেন কিন্তু এ বার ডিসেম্বর পেরিয়ে যাচ্ছে শীতের দেখা মিলছে না। বিহার থেকে আসা এক কারিগর জানান, জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন জায়গায় শীত একটু আগেই চলে আসে প্রতি বছর। তাই এই সময়ে লেপ তৈরির হিড়িক পড়ে যায় জলপাইগুড়ির বিভিন্ন গ্রাম্য এলাকায় কিন্ত এ বছর এখনও পর্যন্ত তিন-চারটি করে লেপ তৈরির অর্ডার পাচ্ছেন। তবে বাজারে কম্বলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আগের তুলনায় লেপ এখন অনেক কম তৈরি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়িতে অক্টোবরের শেষ দিক থেকে শীতের প্রভাব পড়ে যায় কিন্তু এ বছর তেমনভাবে শীতের প্রভাব নেই। তাই গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে ব্যবসায় ক্ষতির মুখে পড়ছে ব্যবসায়ীরা। শীতে গরম পোশাক বিক্রেতারা শীতের ব্যবসার ওপরই নির্ভর করে থাকে। কারণ, এই সময় একটু হলেও বেশি অর্থ উপার্জন হয়।কিন্তু এবার সে দিকেও তাদের মন্দার মুখ দেখতে হচ্ছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jalpaiguri