জলপাইগুড়ি: নিজেদের সঞ্চয়ের সবটুকু দিয়ে অথবা ঋণ করে অতি কষ্টে আলু চাষ করেছেন। মোটা টাকা খরচ করে সার ও বীজ কিনেছিলেন। কিন্তু জমিতে আলু কোথায়? গাছটাই যে ঝলসে গিয়েছে। আবার কোনও গাছের গোড়ায় পচন ধরেছে। চাষিদের আশঙ্কা, বাজার থেকে যে সার কিনেছিলেন সেটা আসলে ভেজাল। বীজের ক্ষেত্রেও তাঁদের ঠকানো হয়েছে। এর ফলে জলে যেতে বসেছে সব টাকা।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাহাদুর পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার চাষিরা এখন শুধুই কপাল চাপড়াচ্ছেন। অভিযোগ, ভেজাল সারের জন্যই আলু গাছের এমন অবস্থা হয়েছে। বিঘা প্রতি প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ করে আলু চাষ করেছেন চাষিরা। বর্তমানে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে লাভ তো দূরের কথা চাষের খরচটুকুও উঠবে না বলে আশঙ্কা। আর কয়েক দিনের মধ্যেই মাঠ থেকে আলু তোলা শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু সঠিকভাবে ফলন না হওয়ায় কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না এখানকার চাষিরা।
আরও পড়ুন: মালদহ জেলা পরিষদের বাজেট বরাদ্দ প্রায় ৭৭ কোটি টাকা কমে গেল!
এলাকার কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিকি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে আমরা আলু চাষ করছি। কিন্তু এমন পরিস্থিতি কোনদিন হয়নি। সারের জন্য গাছ ঝলসে যাচ্ছে, গোড়া পচে যাচ্ছে। এমনকি ফলন হচ্ছে না ঠিকঠাক। অনেক ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছি। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে যাব। সরকারের কাছে আবেদন, আমাদের যেন ক্ষতিপূরণ দেয়। এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি সদর মহকুমা সহ কৃষি অধিকর্তা ড: মেহফুস আহমেদ জানান, এই বছর ভালো মানের বঙ্গশ্রী আলুবীজ বিক্রির জন্য বাজারে ছাড়া হয়েছিল। তাই যারা বঙ্গশ্রী বীজ লাগিয়েছে তাদের আলু খুব ভালো হয়েছে। এই সরকারিকর্তার মতে, বাইরে থেকে আলু বীজ কিনে এনে যে চাষিরা লাগিয়েছিল তাদেরই ফলন খারাপ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রথম থেকেই কৃষি দফতরের তরফে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে। বাজারে সারের যোগানও ঠিকঠাক ছিল। তা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে কৃষকরা সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ করেনি। যার ফলে আলু গাছের চেহারা খারাপ হয়েছে। এতে ফলনও খারাপ হতে পারে।
সুরজিৎ দে
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Agriculture, Farmer, Jalpaiguri News, Potato