#জলপাইগুড়ি: স্থানীয় বাজারে লোকাল মাছের চাহিদা বাড়াতেই নতুন কৌশল অবলম্বন! এবার বেআইনিভাবে নদী থেকে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনে মাছ। আর সেই কারণের জেরেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকছে না আর। কারণ নদী গুলির থেকে ইলেকট্রিক ব্যবহার করার মাধ্যমে ধরা হচ্ছে এই মাছগুলি। এর ফলে শুধুমাত্র নদীর মাছ গুলিই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না। তার সঙ্গে সেই সব নদীতে যেসব প্রাণী রয়েছে ওই প্রাণীরাও ইলেকট্রিক শক লাগার কারণে মারা যাচ্ছে। তবে অবৈধভাবে নদী থেকে মৎস্য শিকারের জন্য কিছু মানুষের এই কার্যকলাপ! আর তা নিয়ে রীতিমত ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন জলপাইগুড়ির পরিবেশ প্রেমীরা।
শীতের সময় জলপাইগুড়ির বেশিরভাগ নদীর জল শুকিয়ে যায়। বিশেষ করে চেল, ঘীস, লীস-সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন নদীর জল একদম কমে যায়। এই সময় এই সব নদীতে বেয়াইনি ভাবে মাছ শিকারের প্রবনতা প্রচন্ড ভাবে বেড়ে ওঠে। এই ছবিই দেখতে গেলো মালবাজার ব্লকের বিভিন্ন নদীতে। এদিন দেখা গেলো কিছু নদীতে বেয়াইনি ভাবে মাছ ধরা চলছে। কিছু যুবক পিঠে ব্যাটারি এবং ইনভাটার লাগিয়ে বিদ্যুৎ শক দিয়ে নদীতে মাছ ধরে চলেছে। আর এর ফলেই নদীর বিভিন্ন মাছ মারা যাচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জলজ প্রাণীর মৃত্যু হচ্ছে। যার ফলে নদীয়ালি মাছের প্রজনন ক্ষমতাও কমে যায় অনেকটাই। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে সরোব হয়েছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সাধারন মানুষের একাংশ।
আরও পড়ুন - Jio Recharge Offer: জিও-র জবরদস্ত অফার, একবার রিচার্জ করালে পুরো ২৩ দিনের ফ্রি ৭৫ জিবি ডেটা
পরিবেশ প্রেমী সংগঠন হিমালয়ান ইকোলজি ফাউন্ডেশন এর সম্পাদক বেনু দে বলেন, "দীর্ঘ কয়েকদিন যাবত ইলেকট্রিক শক দিয়ে নদীতে মাছ ধরার প্রবনতা বাড়ছে। এতে একদিকে বিভিন্ন মাছের যেমন মৃত্যু হচ্ছে। ঠিক তেমনি অন্যদিকে নদীয়ালী মাছের প্রজনন ক্ষমতাও অনেকটাই কমে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন নদীতে অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম করে চলেছি প্রতিনিয়ত। তবে এই ব্যাপারে বন দফতরের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন নদীতে অভিযান করা খুব দরকার। নহলে এই সমস্যা অনেকটাই বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে।"
আরও পড়ুন - চ্যাট করেন, ফেসবুকের মেসেঞ্জারে আসতে চলেছে বিশাল বড় পরিবর্তন, বদলে যাচ্ছে কী কী?
বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় মানুষেরা জানাচ্ছেন, "এই ভাবে নদীতে মাছ ধরা দ্রুত বন্ধ করা হোক। নাহলে যেকোন সময় এর ফলে বড় বিপদও ঘটতে পারে।" প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন অনেকে। এই বিদ্যুৎ ব্যবহার করার ফলে নদীতে যেসব ক্ষুদ্র প্রাণী রয়েছে তাদেরও প্রাণহানি হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা থাকছে না। যদি জেলেরা সঠিক উপায়ে মাছ ধরে। তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা থাকবে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনেরও নজর দেওয়া উচিত।
Surajit Deyনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Fish, Jalpaiguri