হোম /খবর /জলপাইগুড়ি /
বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার মঞ্চ তৈরিতে ব্যস্ত জলপাইগুড়ির বিমান

Jalpaiguri News: কাতারের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম গড়ায় হাত জলপাইগুড়ির বিমানের, এখানেই হবে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ

X
জলপাইগুড়ির [object Object]

ফুটবল ফিভারে কাঁপছে বিশ্ব। মেসি,নেইমার, রোনাল্ডো কিংবা পোগবা,মুলার বিশ্ব এভাবেই যেন বিভক্ত। নব্বই মিনিটের টান টান উত্তেজনা যেন সোজা  স্টেডিয়াম থেকে আমাদের ড্রয়িং রুমে। 

  • Hyperlocal
  • Last Updated :
  • Share this:

#জলপাইগুড়ি: ফুটবল ফিভারে কাঁপছে বিশ্ব। মেসি,নেইমার, রোনাল্ডো কিংবা পোগবা,মুলার বিশ্ব এভাবেই যেন বিভক্ত। নব্বই মিনিটের টান টান উত্তেজনা যেন সোজা স্টেডিয়াম থেকে আমাদের ড্রয়িং রুমে।তবে ফুটবল থাকবে আর আমাদের বাঙালি থাকবে না তা আবার কেমন করে হয়।

এক বাঙালি যুবকের কথা। আজ তারই গল্প করবে নিউজ ১৮ লোকাল। যার হাতে নাকি তৈরি কাতার বিশ্বকাপের স্বপ্ন। আর যে স্বপ্নতে রয়েছে সেরা বিশ্বের সেরা হওয়া। এই স্বপ্ন যেখানে পূরণ হবে সেটি হল লুসাইল স্টেডিয়াম। সেই স্টেডিয়াম বানানো হয়েছে কাতারে, বহু অর্থ খরচ করে। শুধু অর্থ নয় বহু প্রবাসীর ঘামঝরা পরিশ্রম রয়েছে এই স্বপ্নের স্টেডিয়াম তৈরিতে। আর সেখানেই ৮০ হাজার মানুষ একসঙ্গে বসে ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।এটিই কাতারের সবচেয়ে বড়ো স্টেডিয়াম। পুরোটাই বাতানুকূল। কাতারের সেই স্টেডিয়াম তৈরিতে যোগদান দিয়েছে জলপাইগুড়ি নিউটন পাড়ার বিমান দে সরকার।বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ হতে এখনও বেশ দেরি। তবে বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালের জন্য কাতারের লুসাইল স্টেডিয়াম এখন থেকেই সেজে উঠছে আলাদা রূপে৷

আরও পড়ুন -  বাড়িতে সাপ দেখা গেলেই প্রলয়! না খোঁজ পড়ে ‘এই’ প্রলয়ের, চিনে নিন

২০০৯ সালে এই জলপাইগুড়ি ফণীন্দ্রদেব ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ছিল সে।সেই স্কুল থেকেই তাঁর মাধ্যমিক পাশ। এরপর মেকানিক্যাল বিভাগে জলপাইগুড়ি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা। তারপর প্রযুক্তিতে স্নাতক ডিগ্রী। এরপর দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি সংস্থায় বিমানের চাকরিজীবনের শুরু। ২০১৭ সালে নতুন একাধিক বিদেশি সংস্থায় কাজে যোগদানের সুযোগ মেলে। সেখান থেকে পৌঁছে যাওয়া কাতারে। হাতে সুযোগ আসে লুসাইলের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেডিয়াম তৈরির। দ্বিতীয় বার চিন্তা করে সময় নষ্টের চেয়ে পৌঁছে যান সুদূর কাতারে। ২০১৭ সালেই দেশের মাটি ছেড়ে বিমানে করে কাতারে পাড়ি দেন বিমান।

আরও পড়ুন -  North Bengal: যেখানে সেখানে ভল্লুকের অত্যাচার, আতঙ্কে মানুষ, নতুনভাবে ভাবছে বন দফতর

বিমান জানিয়েছেন, স্টেডিয়াম তৈরি করতে ৬ বছর সময় লেগেছে। এই স্টেডিয়াম আমার জীবনের স্বপ্ন। কারণ, এই প্রথম এতো বড় কাজ করলাম। অত্যন্ত খুশি আমি । বাঙালির সেরা খেলা ফুটবল, সেই খেলার মূল জায়গা তৈরি করতে কিছুটা অংশ যোগদান দেওয়াতে অত্যন্ত খুশি।বিমানের দে সরকারের বাবা জানান বাচ্চু দে সরকার জানান, "আমার ছেলে এতো বড় জায়গায় কাজে অংশগ্রহণ করেছে, আমি ভীষণ খুশি।" তিনি কখনো ভেবেই উঠতে পারেনি যে ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ যেখানে খেলা হবে সেই স্টেডিয়াম তার ছেলে সেটি তৈরি করবে ।বিমান এর কাজে গর্বিত তার ছোটবেলার স্কুলও। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, তিনি অত্যন্ত গর্বিত। তার স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র বিমান এতো বড় জায়গায় এই ধরনের কাজে অংশগ্রহণ করেছে। এর ফলে স্কুলের অন্যান্য ছাত্ররা আগামীদিনে অনুপ্রাণিত হবে।

Surajit Dey

Published by:Debalina Datta
First published:

Tags: Fifa world Cup 2022, Qatar World Cup 2022