জলপাইগুড়ি: উত্তরে প্রবহমান চঞ্চল জলঢাকা নদী। এই নদীর মাঝে বিঘার পর বিঘা জায়গায় বালুচর। সেই জায়গা তরমুজ চাষে বরাবরই বিখ্যাত । জলঢাকা নদীর ধু ধু বালু চরে সুস্বাদু রসালো তরমুজ চাষ করেন জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ খয়ের বাড়ির চাষিরা।প্রতি বছর এখানকার তরমুজ পাড়ি দেয় দার্জিলিং ,নেপাল,আসাম সহ ভিন রাজ্যে। এবছর আবহাওয়ার তারতম্যে ফলন অনেকটাই কম।সেই সঙ্গে বাজারে তেমন চাহিদা ও দাম নেই ।
বর্তমানে কেজি প্রতি দাম ৫-৮ টাকা।সরকারি বেসরকারি ভাবে ঋণ নিয়ে তরমুজ চাষ করে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে কৃষকরা। দক্ষিণ খয়ের বাড়ির জলঢাকা নদীর চরে বহু বছর ধরে তরমুজ চাষ করে থাকেন নকুল মন্ডল,তপন সরকার,প্রদীপ সরকারদের মত অসংখ্য কৃষক।গত বছর বাজারে চাহিদা ও দাম দুইই ভাল থাকলেও ,এবছর ফলন অনেকটাই কম।তার সঙ্গে বাজারে চাহিদা না থাকায় দাম নেই তরমুজের।বর্তমান বাজার মূল্যে চাষের খরচ ওঠানো দায় হয়ে গেছে কৃষকদের। সাধারণত মরসুমের এই দিনগুলিতে তরমুজ পরিপক্ক এবং বাজারোপযোগী হয়ে থাকে। কিন্তু এই বছর এই এলাকার তরমুজ বাজারোপযোগী হতে আরও কিছু দিন সময় লাগছে।
রমজান মাসে তরমুজের ভাল চাহিদা থাকবে আশা করেছিল কৃষকরা, কিন্তু ফলন ভাল না হওয়ায় চাহিদা তেমন নেই।তরমুজ চাষিরা সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় এবং ঠিকমতো রোদ না পাওয়াকেই দায়ী করেছেন।তরমুজ চাষি প্রদীপ সরকার জানান, প্রতিবছর ফলন ভাল হলেও এবছর ফলন অনেকটাই কম।১০০০ খাল (ডরি) নিয়ে চাষ করেছেন। চাহিদা কম থাকায় পাইকারদের ফোন করে তাদের দাম অনুযায়ী তরমুজ দিতে হচ্ছে।উপরি সমস্যা গাড়ির।আলুর ফলন হিম ঘরে সংরক্ষণ করতে গিয়ে গাড়ি পাওয়া ভার হয়ে পড়ছে।অপর এক চাষি নকুল মন্ডলেরও একই দাবি। ঋণ নিয়ে তরমুজ চাষ করে বিপাকে কৃষকরা। সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে দক্ষিণ খয়ের বাড়ির তরমুজ চাষিরা।
সুরজিৎ দে
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jalpaiguri News, Watermelon