আর মাত্র একদিনের অপেক্ষা। মরু-দেশে শুরু হয়ে যাবে আইপিএল-এর আসর। তবে এইবারের টুর্নামেন্ট বাকি সব বছরের থেকে আলাদা। করোনা আবহে নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে একাধিক নতুন নিয়ম সংযুক্ত হয়েছে। বাদ পড়েছে একাধিক বিষয়ও। বাদ পড়ার মধ্যে মধ্যে অন্যতম দর্শক এবং তাদের চিৎকার। মাঠে বিরাট, ধোনিদের উৎসাহ দিতে পারবেন না সর্মথকরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে মাঠে থাকবে না চিয়ারলিডারও।
তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেও টুর্নামেন্ট আকর্ষণীয় করে তুলতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে বিসিসিআই। বৈদ্যুতিক যন্ত্রের মাধ্যমে মাঠে সৃষ্টি হবে কৃত্রিম শব্দ ধ্বনি। প্রত্যেক দলের জন্য আলাদা আলাদা সর্মথকরা চিৎকার করবেন। প্রিয় ক্রিকেটারের জন্য গলা ফাটানোর ব্যবস্থাও থাকছে। ধোনি, বিরাট, রোহিত, রাসেল, গেইলরা চার এবং ছক্কা হাঁকালেই ভেসে উঠবে চিৎকার। কখনও শোনা যাবে ধোনি ধোনি ধোনি... আবার পাল্টা বিরাট বিরাট বিরাট.. শোনা যাবে কেকেআরের "করবো লড়বো জিতবো রে" এর মত সব দলেরই গান।
তবে সবকিছুই হবে যন্ত্রের মাধ্যমে। টুর্নামেন্টের প্রথম দিকে কোনও ভাবেই মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি নেই। সে ক্ষেত্রে দর্শকশূন্য গ্যালারিতেই আয়োজিত হবে আইপিএল। তবে বোর্ড কর্তারা চাইছেন টুর্নামেন্টের পরবর্তী ধাপে নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক দর্শক প্রবেশের যদি অনুমতি পাওয়া যায়। ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ দর্শকের অনুমতি চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথাও বলছেন বোর্ড কর্তারা। তবে সেই সব নিয়ে এখনও সবুজ সঙ্কেত পাওয়া যায়নি। এই প্রথমবার আইপিএলে থাকছে না চিয়ারলিডার।
বোলার উইকেট নিলে কিংবা ব্যাটসম্যান বাউন্ডারি মারলে আর মাঠে সেলিব্রেশন করতে দেখা যাবে না প্রত্যেক দলের চিয়ারলিডারদের। শুধু সেলিব্রেশনের শব্দ শোনা যাবে। ইতিমধ্যেই ইউরোপের ফুটবল টুর্নামেন্টে এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। টেলিভিশনে ম্যাচ দেখার সময় মনে হবে যেন আগের মতই গ্যালারি সরগরম রয়েছে। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মতো আইপিএলের ম্যাচ চলাকালীন মাঠে দর্শকদের কাটআউট বসতে পারে। উইকেটের পেছনের দিকে নির্দিষ্ট কিছু আসনে এই কাট আউট বসানো হতে পারে। যাতে ক্যামেরায় দেখে মনে হয় মাঠে দর্শক রয়েছে। তবে এটি এখনও চূড়ান্ত নয় বলেই খবর।
চিয়ারলিডার না থাকলেও সম্প্রচারকারী টেলিভিশন সংস্থা গ্রাফিক্স প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সেই নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনতে পারে। টিভির পর্দায় ভেসে উঠতে পারেন চিয়ারলিডাররা। ম্যাচ টেলিকাস্ট হওয়ার সময় গ্রাফিক্স প্রেজেন্টেশনের ওপর আলাদা জোর দেওয়া হচ্ছে। টেলিভিশনের দর্শকরা যাতে ঠিক আগের মতই উন্মাদনা পেতে পারেন।
কমেন্ট্রি করার ক্ষেত্রেও এই প্রথম work-from-home চালু হচ্ছে। নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক ধারাভাষ্যকার মাঠে থাকছেন। বাকিরা থাকবেন মুম্বইয়ের হোটেলে এবং নিজেদের বাড়িতে। সেখানেই স্টুডিও তৈরি করা হয়েছে। ভারতে বসেই ম্যাচের ভার্চুয়াল ধারাভাষ্য দেবেন ধারাভাষ্যকাররা। হিন্দি ছাড়াও বাংলা সহ সমস্ত আঞ্চলিক ভাষার ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে টেলিভিশন সম্প্রচারকারী সংস্থার তরফ থেকে।
ERON ROY BURMAN