রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর : 201/3 (20)
মুম্বই ইন্ডিয়ানস: 201/3 (20)
সুপার ওভারে জয়ী ব্য়াঙ্গালোর
পোলার্ড, একটাই নাম বোধহয় জপছেন রোহিত শর্মা। আর অবশ্যই ইশান কিষাণ। এই দুই ব্যাটসম্যানের চওড়া ব্যাটে ভর করেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। শারজার ম্যাচ গড়াল সুপার ওভারে। আর সেখানেই ম্যাচ পকেটে পুরে নিল ব্যাঙ্গালোর।
রান তাড়া করতে নেমে খুব একটা ভাল শুরু করতে পারেনি মুম্বই। দ্বিতীয় ওভারেই ব্যক্তিগত আট রানে ফিরে যান রোহিত শর্মা। তারপরের ওভারেই ফিরে যান সূর্যকুমার যাদব। শূন্য রানে। ডেভিলিয়ার্সের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ১৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মুম্বই। তারপর থেকে রানের গতি অনেকটাই পড়ে যায় মুম্বইয়ের। ওয়াশিংটন সুন্দরের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ে ফাঁক খুঁদে পায় না মুম্বই। সপ্তম ওভারে বল করতে এসেই ডি কককে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান চাহাল। ক্রমে তলিয়ে যেতে থাকে মুম্বই। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে খেলা ধরেন ইশান কিষাণ। তাঁরাও বেশিক্ষণ টানতে পারলেন না। জাম্পার বলে তুলে মারতে গিয়ে উইকেট হারান হার্দিক পাণ্ডিয়া। ১৫ রানে পাণ্ডিয়া ফেরায় মুম্বইয়ের রান দাঁড়ায় ১১.২ ওভারে ৭৮, চার উইকেটের বিনিময়ে। এর মধ্যেই নিজের হাফ সেঞ্চুরি সেরে নেন ইশান কিষাণ। জাম্পার বলে এক বিশাল ছয় মেরে ৩৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইশান। তবে রানের গতি বাড়াতে পারেননি তিনি কিম্বা পোলার্ড। কিন্তু জাম্পা বলে ফিরতেই হাত খোলেন পোলার্ড। পোলার্ডের ক্যাচ ফেলেন নেগি। প্রথম তিন বলে ১৬ রান তুলে নেন পোলার্ড। চাপে পড়ে যান অস্ট্রেলিয়ার তরুণ স্পিনার। এই ওভারে ২৭ রান তুলে খেলা জমিয়ে দেন পোলার্ড। সঙ্গ দিতে থাকেন ইশানও। ২০ বলে ৫০ করে ফেলেন পোলার্ড। খেলা শেষ বেলায় জমে ওঠে এই দুজনের জন্যেই। একশো রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন পোলার্ড আর ইশান। শেষ ওভারে মুম্বইয়ের জেতার জন্য দরকার ছিল ১৯ রান। শেষ ওভারে একের পর ছক্কা হাঁকান সেই ইশান। কিন্তু ব্যক্তিগত ৯৯ রানে আউট হয়ে ফিরে যান ইশান। শেষ বলে দরকার ছিল পাঁচ রান। চার রানে খেলা শেষ করেন পোলার্ড। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে সাত রানের লক্ষ্য মাত্রা রাখে মুম্বই। আর তারপর সেই রান সহজে তুলে নেয় ব্যাঙ্গালোর।
এদিন ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ হন বিরাট কোহলি৷ কিন্তু তরুণ দেবদত্ত পাডিকল ও অভিজ্ঞ এ বি ডেভিলিয়ার্সের সৌজন্যে মুম্বইয়ের সামনে বড় রানের টার্গেট দেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর৷ ২০ ওভারে ২০১ রান তোলে আরসিবি৷ জয়ের জন্য মুম্বইয়ের প্রয়োজন ছিল ২০২৷ ২৩ বলে৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ডেভিলিয়ার্স৷ শেষ দিকে ডেথ ওভারের বিশেষজ্ঞ যশপ্রীত বুমরাহকেও রেয়াত করেননি তিনি৷ মাত্র ২৩ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন তিনি৷ এ দিন টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা৷ ব্যাঙ্গালোরের দুই ওপেনার ফিঞ্চ এবং দেবদত্ত পাডিকল অর্ধশতরান করেন৷ কিন্তু এ বারের আইপিএল-এ এখনও বড় স্কোরের মুখ দেখেননি বিরাট৷ আগের ম্যাচও পঞ্জাবের বিরুদ্ধে খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয়েছিল তাঁকে৷ এ দিনও শুরু থেকে খুব একটা ছন্দে ছিলেন না বিরাট৷ রাহুল চহারের স্পিন বুঝতেও বেশ কিছুটা অসুবিধা হচ্ছিল তাঁর৷ শেষ পর্যন্ত তরুণ এই স্পিনারের বলেই রোহিতের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি৷ তবে এ দিন ব্যাঙ্গালোরের হয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল অ্যারন ফিঞ্চ এবং দেবদত্ত পাডিকল জুটি৷ মাত্র ৪০ বলে ৫৪ রান করে দেবদত্ত৷ দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন এ বি ডেভিলিয়ার্সও৷ তবে মুম্বইকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন তরুণ রাহুল চাহার৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: IPL 2020