সামনে পাহাড়প্রমাণ রানের লক্ষ্যমাত্রা। রাজস্থানের বিপুল রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে কাঙ্ক্ষিত শুরুটাও করতে পারেনি চেন্নাই সুপার কিংস। যত সময় এগিয়েছে, জয়ের লক্ষ্য আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও কেন সাত নম্বরে নামলেন ধোনি? এ নিয়ে ইতিমধ্যে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ক্রীড়ামহলের একাংশে। তার জবাব অবশ্য সম্প্রতি নিজেই দিলেন ধোনি।
সবাই ভাবছিলেন, দলের এই পরিস্থিতিতে ব্যাটিং অর্ডার চেঞ্জ করে ক্যাপ্টেন কুল নিজে আগে নামবেন এবং দলকে নেতৃত্ব দেবেন। তা ছাড়া বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশার ধোনি। কিন্তু তাঁর আগে তিনি আরও দুজনকে ব্যাট করার সুযোগ দিলেন। সাত নম্বরে নেমে ১৭ বলে ২৯ রান করেন ধোনি। পর পর তিনটি ছক্কাও মারেন। কিন্তু তা শেষ ওভারে এসে। তাই তীরে এসেও তরী ডুবেছে। মাত্র ১৬ রানের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে রাজস্থান। কিন্তু ধোনির এই সিদ্ধান্তের পিছনে কী কারণ রয়েছে?
ম্যাচের পর অবশ্য তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ধোনি স্বয়ং। তাঁর বক্তব্য, একটা দীর্ঘ সময়ের পর মাঠে ফিরলেন তিনি। তাই ব্যাট হাতে এখনও সেই পরিমাণ আত্মবিশ্বাসী হতে পারেননি। তা ছাড়া তিনি অন্য সমীকরণে হাঁটছিলেন। যে ভাবে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে রণকৌশল তৈরি করেছিলেন, মাহির কথায়, সে ভাবে না এগিয়ে একটু অন্য রকম ট্রাই করতে চেয়েছিলেন তিনি। স্যাম কারানকে সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন।
স্যাম কারান প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে আর ডি গায়কোয়াড়কে পাঠান ধোনি। প্রথম বলেই ফিরে যান গায়কোয়াড়। তার পরও ধোনি নামেননি। কেদার যাদবকে পাঠালেন। কেদার ১৬ বলে ২২ রানের ইনিংস খেললেও টিকে থাকতে পারেননি। পরিস্থিতি এতটাই কঠিন হয়ে যায়, ডুপ্লেসিসের ৩৭ বলে ৭২ রানের ইনিংসও রক্ষা করতে পারেনি চেন্নাইকে।
ম্যাচের শেষে রাজস্থানের স্পিনারদের প্রশংসা করেছেন ধোনি। বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়ার জন্য সঞ্জু স্যামসনের ৩২ বলে ৭৪ রানের ইনিংস ও স্টিভ স্মিথের ৬৯ রানেরও প্রশংসা করেছেন। কিন্তু ২১৭ রান তাড়া করতে নেমে দলের শুরুটা যে ভালো হয়নি, তা স্বীকার করে নিয়েছেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক।
অনেকে বলছেন, যদি থার্ড ডাউনের পর ধোনি নামতেন তা হলেও ম্যাচের রং বদলাতে পারত। দেখা যাক, আগামী ম্যাচগুলিতে আবার সেরা পারফর্ম্যান্সে ধোনিকে ফিরে পাওয়া যাবে কি না!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: IPL 2020