হোম /খবর /বিদেশ /
হিমশীতল ফাঁকা মরুভূমিতে বিশ্বের সব চেয়ে সস্তা বিছানায় রাত কাটালেন ইউটিউবার

হিমশীতল ফাঁকা মরুভূমিতে বিশ্বের সব চেয়ে সস্তা বিছানায় রাত কাটালেন ইউটিউবার

অনলাইনে হোটেল বুকিং আমরা অনেকেই করে থাকি। সার্চ করার সময় সব চেয়ে বেশি প্রায়োরিটি থাকে একটু কম টাকার হোটেল ও ভালো সার্ভিস।

  • Last Updated :
  • Share this:

#ডেনভার: অনলাইনে হোটেল বুকিং আমরা অনেকেই করে থাকি। সার্চ করার সময় সব চেয়ে বেশি প্রায়োরিটি থাকে একটু কম টাকার হোটেল ও ভালো সার্ভিস। রেটিংটাও দেখে নেওয়া হয় অনেক সময়ে। সব চেয়ে কম টাকার হোটেল পেলে অনেকেই খুশি হয়ে যান। কিন্তু কম টাকার হোটেল সার্চ করতে গিয়ে এক ইউটিউবারের (YouTuber) অভিজ্ঞতা হল একদম অন্যরকম। সারা রাত কার্যত বরফের মাঝে কাটালেন তিনি।

পৃথিবীর সব চেয়ে কম খরচের হোটেল রয়েছে আমেরিকার কলোরাডোর ডেনভারের একদম প্রত্যন্ত এলাকায়। যেখানকার তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ১৫ ডিগ্রির নিচে। সেখানেই বিনা ছাদ, বিনা ঘরের একটি হোটেলে একটা পুরো দিন কাটালেন ইউটিউবার রায়ান ত্রাহান। দেখলেন ভাল্লুক ও ঘোড়ার দলও।বিশ্বের সব চেয়ে কম টাকার হোটেলে আছে মাত্র একটি বিছানা, একটি ব্ল্যাঙ্কেট ও একটি জলের জায়গা। মাইনাস ১৫ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রায় সেখানেই সারা দিন-রাত কাটালেন রায়ান। নতুন জায়গা, নতুন হোটেল এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে নতুন অভিজ্ঞতারও সাক্ষী থাকলেন তিনি। ঠাণ্ডায় কাঁপলেও পারলেন না আগুন জ্বালাতে। পেলেন না সঠিক সময়ে খাবারও। বিকেলে অর্ডার দেওয়া খাবার এসে পৌঁছাল রাত ১০টায়। সেই খাবারও ঠাণ্ডা বরফের মতোই!<iframe width="560" height="315" src="https://www.youtube.com/embed/O-lROmPEIZ4" frameborder="0" allow="accelerometer; autoplay; clipboard-write; encrypted-media; gyroscope; picture-in-picture" allowfullscreen></iframe>পুরো অভিজ্ঞতার কথা রায়ান শেয়ার করেছেন তাঁর ইউটিউব (YouTube) চ্যানেলে। যেখানে দেখা যাচ্ছে সকাল সকাল রায়ান পৌঁছে যান ওই ডেসার্টে। চারিদিক সাদা বরফে ঢাকা। মাঝে মাঝে শুকনো ঘাস। বাকি আশেপাশে কেউ নেই। পাহাড়ে ঘেরা এলাকায় রায়ান একা। জোরে জোরে চিৎকার করলেও কেউ সাড়া দেওয়ার নেই। খুব ঠাণ্ডা লাগলেও আগুন জ্বালাতে পারেননি তিনি। আগুন জ্বলেনি শুকনো ঘাসেও। অগত্যা ওই অবস্থাতেই সারা দিন কাটান। বাথরুম বলতে পাশের একটি জায়গা। হোটেল কর্তৃপক্ষের তরফে বিছানা ছাড়া দেওয়া হয়েছিল একটি জলের জায়গা।
তবে, এমন একটি জায়গায় থাকবেন বলে রায়ান আগে থেকে তৈরি হয়ে গিয়েছিলেন। সঙ্গে নিয়েছিলেন ফায়ার স্টিক, হ্যান্ড গ্লাভস, কিছু খাবার ও বিয়ার রেপেলেন্ট স্প্রে। পাশাপাশি ইমারজেন্সির জন্য রেখেছিলেন অতিরিক্ত জামা-কাপড়ও।সারা দিন এদিক-ওদিক করে কেটে গেলেও দুপুর গড়াতেই তাঁর খিদে পায় এবং তিনি খাবার অর্ডার করেন। খাবারটি তাঁর কাছে পৌঁছায় রাত ১০টায়। এত রাতে সেই খাবার খেয়ে সিনেমা দেখতে দেখতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে উঠে ব্যায়ামও করতে দেখা যায় তাঁকে।তবে, সারা রাতের অভিজ্ঞতা তেমন খারাপ নয় বলেই তিনি জানিয়েছেন। রাতে বন্য জন্তুদের আক্রমণের আশঙ্কা থাকলেও তেমন কিছুই হয়নি।তাঁর ভিডিওটি পোস্টের সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়। বহু মানুষ তাঁর সাহসিকতার প্রশংসা জানিয়েছেন। বহু মানুষ তাঁর মতোই নতুন নতুন জায়গা এক্সপেরিমেন্ট করতে চেয়েছেন।
Published by:Akash Misra
First published:

Tags: Youtube