#বেজিং: ক্রমশ একঘরে হয়ে পড়েছে চিন। একদিকে করোনা ভিলেন হিসেবে যেমন বদনাম নিতে হয়েছে,তেমনই ভারত সহ একাধিক দেশের সঙ্গে লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুধু লাদাখ নয়, দক্ষিণ চিন সাগর থেকে শুরু করে, পূর্বে তাইওয়ান সীমানা পর্যন্ত পরিস্থিতি কখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলা মুশকিল। ট্রাম্প বিদায় নিলেও নতুন আমেরিকান রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এলে দুই দেশের সম্পর্ক ভাল হবে বলে বেজিং আশাবাদী হলেও, বাইডেন এসেই চিনকে কাছে টেনে নেবেন এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। বরং দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আধিপত্য কমাতে ভারত সহ জাপান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের দিকেও থাকতে পারে আমেরিকা।
কয়েকদিন আগেই চিনা বিদেশ মন্ত্রী ওয়ং ই নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখেছিলেন মার্কিন প্রশাসনকে ঘিরে। কিন্তু বাইডেন বা তাঁর প্রশাসনের তরফ থেকে ভরসা করার মত জবাব আসেনি। তাই জল মাপছে চিন। সোমবার রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং তাঁর দেশের সেনাবাহিনীকে পুরো সময়ের লড়াইয়ের প্রস্তুতির ওপর জোর দিতে বলেছেন। পাশাপাশি প্রয়োজন পড়লে যে কোনও সেকেন্ডে কাজ করতে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনীকে বাস্তব যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সত্যিকারের যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং জয় নিশ্চিত করতে যা যা করণীয় সে বিষয়ে জোর দিতে বলা হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহারেও বহুদিন ধরে কাজ করছে পিএলএ। তৈরি রাখা হয়েছে নৌ বাহিনী এবং বিমানবাহিনীকেও। সংখ্যার বিচারে এই মুহূর্তে চিনা নৌবাহিনী মার্কিন নৌবাহিনীর থেকে বেশি।এদিকে নিজের শক্তি প্রদর্শন করতে চিন তিব্বতের রাজধানী লাসার ওপর হেলিকপ্টার উড়িয়েছে মিলিটারি ড্রিল হিসেবে।উল্লেখ্য জুলাইয়ের এক তারিখ চিনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবসের শততম বার্ষিকী। তার আগে সেন্ট্রাল মিলিটারি কমান্ডকে সব রকম ভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন চিনের লাল বাদশা।