হোম /খবর /বিদেশ /
আজব কাণ্ড! সুপারমার্কেটে গিয়ে মহিলা ভাঙতে শুরু করলেন একের পর এক মদের বোতল

আজব কাণ্ড! সুপারমার্কেটে গিয়ে মহিলা ভাঙতে শুরু করলেন একের পর এক মদের বোতল

প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ওই মহিলা দোকানে বোতল ভাঙেন। কিন্তু কর্মচারীরা কিছু বুঝতে না পেরে চুপ করে ছিলেন

  • Last Updated :
  • Share this:

#ইংল্যান্ড: খুব সাধারণ জামাকাপড়, গায়ে হুডি... এক মহিলা খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে ভেঙে চলেছেন কাচের বোতল। এক ঝটকায় দেখলে মনে হবে, বোতল ভাঙার কাজ করছেন তিনি। একটু জুম করলে বোঝা যাবে, যে বোতলগুলি তিনি ভাঙছেন, সেগুলি মদের বোতল। তিনি মনের সুখে ভেঙে চলেছেন বোতল আর কর্মচারীরা দেখছেন। এমনই একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসতে রীতিমতো হইচই পড়েছে নেটদুনিয়ায়। জানা গিয়েছে, এটি ইংল্যান্ডের একটি দোকানের ঘটনা। যেখানে হঠাৎই ওই মহিলা ঢুকে বোতল ভাঙতে শুরু করেন!

ডেইলি মেইলে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার দুপুরে ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ারে ঘটনাটি ঘটে। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ওই মহিলা দোকানে বোতল ভাঙেন। কিন্তু কর্মচারীরা কিছু বুঝতে না পেরে চুপ করে ছিলেন। সবাই এই কাণ্ড দেখে আতঙ্কে হতবাক হয়ে যান। পরে অবশ্য আলদি স্টোর নামে ওই দোকানের এক কর্মচারীই পুলিশকে ফোন করেন। সেই ফোন পেয়ে পরে পুলিশ এসে ওই মহিলাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে।

যে ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে, মেঝেতে কাচ ভর্তি! সবই বোতল ভাঙার! এক ফোঁটা জায়গা নেই হেঁটে যাওয়ার। আর একদম শেষের দিকে মহিলা একটা করে বোতল তুলছেন আর ভাঙছেন। যে বোতলগুলি তিনি ভেঙেছেন সবই মদের এবং তার মূল্য প্রায় কয়েকহাজার পাউন্ড।ভিডিওটি ভাইরাল হতে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, আধ ঘণ্টা ধরে একটা মানুষ বোতল ভাঙলেন আর দাঁড়িয়ে তা দেখলেন দোকানের লোকজন? কেউ কোনও পদক্ষেপ করলেন না কেন? ডেইলি মেইলের ওই রিপোর্ট বলছে, ওই মহিলা এতটাই ডেসপারেট ভঙ্গিতে কাজটি করছিলেন যে বাকিরা ভয় পেয়ে যান এবং এমন ঘটনা অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত ছিল না। তিনি ওই দোকানের লম্বা মিডল সেল্ফের পুরোটাই খালি করে দিয়েছিলেন ভেঙে। উপরের সেল্ফে হাত দেওয়ার আগেই তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশ। এলাকা থেকে খুব সাবধানে তাঁকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। যে হাতে তিনি বোতল ভাঙছিলেন সেই হাতে চোট পেয়েছেন। তাই গ্রেফতার করে প্রথমে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে পুলিশ স্টেশনে।কেন এমন ঘটনা, সে বিষয়ে আলদি স্টোরের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তাদের তরফে শুধু জানানো হয়েছে, ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Published by:Rukmini Mazumder
First published: