হোম /খবর /বিদেশ /
কোন আইন বলে হঠানো যায় ট্রাম্পকে- Google Searchএ জোর খোঁজাখুজি!

কোন আইন বলে হঠানো যায় ট্রাম্পকে- Google Searchএ জোর খোঁজাখুজি!

গত বুধবার একটি জনসভায় বক্তৃতা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ অভিযোগ, তার পরেই বেনজির ভাবে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন ট্রাম্প সমর্থকরা৷ পুলিশ- জনতা সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ ট্রাম্পের প্ররোচনাতেই তাঁর সমর্থকরা এমন কাণ্ড ঘটান বলে অভিযোগ৷ জো বাইডেনকে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ভেস্তে দিতেই এই হামলা চালান ট্রাম্প সমর্থকরা৷

গত বুধবার একটি জনসভায় বক্তৃতা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ অভিযোগ, তার পরেই বেনজির ভাবে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন ট্রাম্প সমর্থকরা৷ পুলিশ- জনতা সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ ট্রাম্পের প্ররোচনাতেই তাঁর সমর্থকরা এমন কাণ্ড ঘটান বলে অভিযোগ৷ জো বাইডেনকে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ভেস্তে দিতেই এই হামলা চালান ট্রাম্প সমর্থকরা৷

মার্কিন সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী ধারা, ট্রাম্পের অপসারণের এই চাবিকাঠি নিয়ে Google Search তুঙ্গে!

  • Last Updated :
  • Share this:

#ওয়াশিংটন: অবশেষে সুর নরম করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। জানিয়েছেন যে তিনি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চান। তাঁর বক্তব্য আপাতত দাবি করছে যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে মার্কিন মুলুকের প্রেসিডেন্ট বদল হবে। এ নিয়ে আর কোনও সংঘাতের সম্মুখীন হবে না দেশ- মোটামুটি ভাবে এই সুর যেন স্পষ্ট তাঁর কথায়!

তবে ট্রাম্প যদি নিজে থেকে এ কথা না বলতেন, তা হলেও তাঁকে সরে আসতেই হত। মার্কিন সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী ধারা প্রয়োগ করে তাঁর অপসারণের পথটি মসৃণ করে দিত কংগ্রেস। খবর বলছে যে ক্যাপিটাল ভবনে হামলার পর থেকে Google Search-এ মার্কিন সংবিধানের এই ২৫তম সংশোধনী ধারা নিয়ে জোর খোঁজাখুঁজি চলছে।

খবর বলছে যে মার্কিন সংবিধান অনুসারে কোনও প্রেসিডেন্ট যদি ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি না হন, তা হলেও তাঁকে অপসারণের পথ খোলাই রয়েছে। এই মর্মে দু'টি পন্থার মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নিতে পারে কংগ্রেস।

এর মধ্যে প্রথমটি হল মার্কিন সংবিধানের ২৫তম সংশোধনী ধারা। আর দ্বিতীয়টি হল সেনেট সদস্যদের মতামত।

এই ২৫তম সংশোধনী ধারাটি ১৯৬৩ সালে জন এফ কেনেডির হত্যার পর মার্কিন সংবিধানে যুক্ত করা হয়। বিষয়টি মূলত উত্তরাধিকার-সংক্রান্ত। জন এফ কেনেডির (John F. Kennedy) হত্যার পরে প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হয়েছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন (Lyndon B. Johnson)। তার মানে, ওই সময়ে দেশে কোনও ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন না। একই সঙ্গে দেখা দেয় আরেকটি প্রশ্নও- কোনও কারণে প্রেসিডেন্ট অসুস্থ হয়ে পড়লে কী হবে?

সেই মর্মে এই ধারাটি স্পষ্ট ভাবেই বলছে যে যদি কোনও প্রেসিডেন্ট শাসনযন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে ওঠেন, যদি তিনি অসুস্থ হন বা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন, তা হলে এই আইনের দ্বারা তাঁকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা যাবে।

আর সেনেটের সদস্যদের মতামতের বিষয়টিও কিছুটা এক। এ ক্ষেত্রে ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সেনেটের সদস্যরা দাবি তুলতে পারেন যে প্রেসিডেন্ট শাসনযন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক, শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অসুস্থ! সেটার বিপক্ষে মন্তব্য করতেই পারেন প্রেসিডেন্ট! কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হবে, তা ঠিক করবেন সেনেটের সদস্যরাই যাতে গণতন্ত্রের ভিতটি সুরক্ষিত থাকে।

ক্যাপিটাল ভবনে হামলার পর এই ২৫তম সংশোধনী ধারা ঠিক কী, তা নিয়ে জোর খোঁজাখুঁজি শুরু হয়েছে Google-এ। অনেকেই চেয়েছেন এই ধারার প্রয়োগ করা হোক! তবে শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের পরাজয় স্বীকারে কিছুটা হলেও দেশে শান্তি ফিরেছে বলাই যায়!

Published by:Debalina Datta
First published:

Tags: Google