#ওয়াশিংটন: রাজপ্রাসাদ ঠিক কী রকম হয়ে থাকে, সে আমরা অনেকেই দেখেছি! রাজস্থানের ইতিউতি এখনও অক্ষত ভাবে ছড়িয়ে রয়েছে হিন্দুদের নানা দুর্গ! আবার, দিল্লি এবং তার চারপাশে গেলে ঘুরে দেখা যায় মুঘল অন্তঃমহল। এই শ্রেণীবিভাজনের কারণ একটাই- ঐতিহ্য অনুসারে কখনও কখনও এক শিল্পকলা অন্যকে প্রভাবিত করলেও মোটের উপরে এই প্রাসাদেরা সৌন্দর্যে আর অলঙ্করণে পরস্পরের চেয়ে পৃথক! যদিও তা দেখার পরেও অনেকটাই কল্পনার আশ্রয় নিতে হয়। কেন না, এদের ঘরগুলো রয়েছে ফাঁকা পড়ে, সেখানে সেই আমলের আসবাবের কোনও বাহার নেই!
এ দিক থেকে যদি ইতিহাসকে চাক্ষুষ করতে হয়, তা হলে এবার সেই সুযোগ হাতের সামনে তুলে দিয়েছে মার্কিন মুলুকের সব চেয়ে বড় সংগ্রহশালা দ্য মেট্রোপলিটান মিউজিয়াম অফ আর্ট। তাদের রাইটসম্যান গ্যালারিতে ধরা রয়েছে শতাব্দীপ্রাচীন ফরাসি প্রাসাদের অন্দরমহলের বিন্যাস। সম্প্রতি তারই এক ভিডিও নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে আপলোড করেছে মিউজিয়াম।
এই ভার্চুয়াল ট্যুরে মাঝে মাঝেই ক্যামেরা জুম করেছে কোন ঘর ফ্রান্সের কোন প্রাসাদের কোন সময়ের অন্তর্গত ছিল, সেই বিষয়ে। ফলে তথ্যের কোনও অভাবই দর্শকের সামনে নেই। আর এই অপরিসীম তথ্যের সঙ্গেই রয়েছে চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়া অপরিমিত ঐশ্বর্যের বাহার। সোনায় মোড়া দেওয়াল, তাতে ঠিকরে পড়া ঝাড়বাতির আলো, পায়ের তলায় নরম গালিচা, বিশাল কারুকাজ-করা ক্যানোপিওয়ালা খাট- শুধু মুগ্ধ হয়ে দেখে যেতে হয়। নানা প্যাস্টেল শেডের সঙ্গে সোনালি, লাল, সবুজ আর গোলাপির সমাবেশ মনে ঘোর জাগায়!
না বললেই নয়- এই ভিডিও তোলা হয়েছে দিনের বেলায়। কিন্তু মিউজিয়াম এত সুন্দর করে সব দিক রক্ষা করেছে যে রাতের অন্ধকারে ঘরগুলো দেখতে কেমন লাগবে, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছে স্পষ্ট ঝাড়বাতিতে জ্বলে থাকা মোমের নরম আলোর উদ্ভাস!