#ওয়াশিংটন: তিনি ঝগড়াঝাঁটি পছন্দ করেন না। নির্বিবাদী মানুষ। ট্রাম্পের মত হুমকি দিয়ে শত্রু শিবিরে ভয় ধরাতে পারেন না। এমন অভিযোগ উঠেছিল নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। সঠিক সময়ে জবাব দিলেন তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী চেয়ারে বসার ঠিক ৩৬ দিন পর জো বাইডেন আগ্রাসী সিদ্ধান্ত নিলেন। তাঁর নির্দেশে মার্কিন বিমান বাহিনী বম্বিং করল সিরিয়ায়। ইরান সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির দ্বারা ব্যবহৃত ইরাকি সীমান্তের নিকটবর্তী কিছু জায়গায় এই হামলা চালানো হয়েছে। সতেরো জন জঙ্গি এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছে আন্দাজ করা হচ্ছে।
এফ সিক্সটিন এবং এফ ফিফটিন ই -এক্স যুদ্ধবিমান এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে। কিছুদিন আগে বাগদাদে মার্কিন সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছিল ইরান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন। ইরান জানিয়েছিল মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত কমান্ডার কাসেম সুলেমানির মৃত্যুর বদলা নিতে তাঁরা আমেরিকাকে উচিত শিক্ষা দিতে চায়। বিশাল ক্ষতি না হলেও ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন একজন ঠিকাদার কর্মী, একজন মার্কিন সার্ভিস সদস্য এবং জোটের কয়েকজন সেনা আহত হয়েছিল। ইরানের সমর্থিত জঙ্গি সংগঠনের ওই হামলায় অল্প সময়ের জন্য হলেও ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল আমেরিকা।
ইরান সত্যিই এতটা সাহস দেখাবে আন্দাজ করতে পারেনি বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী। তাই আগে বা পরে এই হামলার জবাব দিতেই হত আমেরিকাকে। মার্কিন মুখপাত্র জন কিরবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন নির্দেশ দিয়েছিলেন এমন হামলা চালানোর যাতে জঙ্গি গোষ্ঠীদের শিক্ষা দেওয়া যায়, আবার যাতে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে বলেছিলেন তিনি। তিনি বিশ্বাস করেন সমগ্র সিরিয়া এবং ইরাক এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরতে চায়। তাঁদের দেশ পুনর্গঠনে সবরকমভাবে সাহায্য করতে তৈরি আমেরিকা।
লক্ষ্য করার মত বিষয় এই হামলা এমন সময় চালানো হল যখন আমেরিকা এবং ইরান পরমাণু চুক্তি নিয়ে পুনরায় আলোচনার টেবিলে বসার কথাবার্তা চালাচ্ছিল। এই হামলার ফলে সেই আলোচনা ভেস্তে যায় কিনা সেটাই দেখার। যদিও ইরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল নিষেধাজ্ঞা না তুললে আলোচনার কোনও মানে নেই। বাইডেন অবশ্য ইরানি চাপের কাছে মাথা নত করেননি। আমেরিকার এই বিমান হামলার পর ইরানের তরফে পাল্টা জবাব দেওয়া হয় কিনা সেটাই দেখার। মার্কিন সামরিক বাহিনী এই মুহূর্তে যে কোনও পরিস্থিতি সামলাতে তৈরি বলে জানানো হয়েছে। তবে আমেরিকা কোনও অবস্থাতেই চায় না পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাক।