#ওয়াশিংটন: একদিন আগেই প্রশ্ন উঠেছিল বাইডেন জমানায় ভারত-আমেরিকা সম্পর্ক( India US relations) নিয়ে। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট অতীতে বহুবার ভারতকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা কমিটির (UNSC) স্থায়ী সদস্য করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের আমেরিকার দূত জানিয়েছিলেন ভারতের স্থায়ী সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়াটি নিয়ে আলোচনা চলছে। কয়েকটি দেশের প্রতিবাদে তা আটকে রয়েছে। ভারত মনে করে আমেরিকা জোর খাটালে কোনও দেশই ভারতকে স্থায়ী সদস্য পদ পেতে আটকাতে পারে না। তাই মুখে কিছু না বললেও কিছুটা অস্বস্তি ছিল দিল্লির।এবার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ওপর বার্তা দিল পেন্টাগন (Pentagon)। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন(Lloyd Austin) ফোন করেছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-কে ( Rajnath Singh)।
তিনি কথা দিয়েছেন ভারতের সঙ্গে শুধু সামরিক সম্পর্ক নয়, কূটনৈতিক, সামাজিক, বাণিজ্যিক সম্পর্কের ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে। এছাড়া করোনা নিয়ন্ত্রণে দুই দেশ পাশাপাশি থেকে কী প্রক্রিয়ায় কাজ করবে তা নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ভবিষ্যতের রুট ম্যাপ নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়েছে। লয়েড এবং রাজনাথের আলোচনার ব্যাপারটি জানান পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কর্বি। কমলা হ্যারিসকে(Kamala Harris) ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রানিং মেট বেছে নেওয়া, নিজের ট্রানজিশন টিমে একাধিক ভারতীয়কে রাখা, ইত্যাদি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাইডেন বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের সঙ্গে উন্নত সম্পর্কের ব্যাপারে তিনি কতটা আগ্রহী।
ট্রাম্প জমানা থেকেই ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সামরিক ক্ষেত্রে একাধিক চুক্তি হয়েছিল। রোমিও থেকে শুরু করে অ্যাপাচি হেলিকপ্টার, সিগ মেশিনগান থেকে শুরু করে নতুন ৭৭৭ কামান আমেরিকা থেকে আমদানি করেছিল ভারত। কিন্তু প্রত্যাশার ধারেপাশে যায়নি দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক। এবার নরেন্দ্র মোদি সরকার শুরু থেকেই বার্তা দিয়েছে বাণিজ্য ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করার। বাইডেন জমানায় ভারত-আমেরিকা কতটা কাছাকাছি আসতে পারে সেটাই এখন দেখার।