#আমেরিকা: সভ্যতার ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি। মার্কিন এক প্রসাধনী সংস্থা- এস্টি লডার তাদের বিউটি প্রোডাক্ট পাঠাতে চলেছে মহাকাশে। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশযান ব্যবহার করা হবে এর জন্য। সেই প্রোডাক্ট ব্যবহার করে মহাকাশচারীরাই তাঁদের অভিজ্ঞতা ক্যামেরাবন্দি করবেন।
এস্টি লডার-এর নাইট রিপেয়ার সিনক্রোনাইজড মাল্টি রিকভারি কমপ্লেক্স ক্রিম পাঠানো হবে মহাকাশে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বিউটি প্রোডাক্টের বাজার ধরাই এই প্রসাধনী সংস্থার আসল লক্ষ্য। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০-তে পৃথিবী থেকে রওনা হবে এস্টি লডার-এর শ্যুটিং টিম। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছবে ৩ অক্টোবর। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সঙ্গে পাঠানো হবে এই ক্রিম।
১৯৮২ সালে প্রথম নাইট টাইম রিপেয়ার সিরাম বাজারে আসে এবং প্রথম বারের জন্য হায়ালুরোনিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয় প্রসাধনীতে। তার ৩০ বছরের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে নিজেদের পণ্য মহাকাশে পাঠাচ্ছে মার্কিন স্কিন কেয়ার সংস্থা। এই নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে পৃথিবীর ভেতরে এবং বাইরে! আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনকেও বাজার হিসেবে মাপতে শুরু করেছে নানা সংস্থা।
বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করছেন মহাকাশচারীরা, এমন ছবি ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করবে সংশ্লিষ্ট ওই প্রসাধনী ব্র্যান্ড। এটি হবে তাদের প্রচার কৌশলের অন্যতম। সিএনএন জানাচ্ছে, এর আগে মহাকাশে কোনও প্রসাধনীর বিজ্ঞাপন হয়নি।
তবে নভশ্চরেরা নিজেদের মুখ দেখাতে পারবেন না, তাঁরা শুধু ছবি তুলবেন। বিজ্ঞাপনে মহাকাশচারীদের নিজেদের মুখ দেখানোয় অনুমতি দেয়নি নাসা। তবে প্রসাধনী মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে দেওয়ার সমস্ত খরচ বহন করবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাই। আনুমানিক ৯৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে গোটা প্রক্রিয়ায়।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে ২০২৪-এ ফের চাঁদে মানুষ পাঠাবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ইতিমধ্যে মহাকাশচারীদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা শুরু করে দিয়েছে নাসা। চাঁদের প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে জলের তলায় চলছে প্রশিক্ষণ। খুব শিগগির চাঁদেও যে প্রসাধনী পাঠাবে না কোনও ব্র্যান্ড, কে বলতে পারে?