#ওয়াশিংটন: নৈরাজ্যের দিনেই জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের শংসাপত্র দিল মার্কিন কংগ্রেস। জর্জিয়া, পেনসিলভেনিয়ার ভোট পুনর্গণনা হোক বা মিশিগান, অ্যারিজোনায় পুনরায় ভোট, রিপাব্লিকানদের কোনও দাবিই ধোপে টিকল না। হাউজ অব কমন্স হোক বা সেনেট, সর্বত্রই রিপাব্লিকানদের যুক্তি খারিজ করে বাইডেনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্টের শংসাপত্র দেওয়া হল।
যদিও ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ে ট্রাম্পের সহযোগীদের হামলার দরুণ এদিনের সভা নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যায়নি। স্থানীয় সময় রাত আটটার সময় দুই কক্ষের যৌথ সভার কার্যক্রম শুরু করার ডাক দেন মাইক পেনস।
এই খবর প্রকাশিত হতেই সংবাদমাধ্যমকে ডোলান্ড ট্রাম্প বলেন, "এর মানে আমার প্রথম রাষ্ট্রপতিত্বের মেয়াদ ফুরলো। আমি এই নির্বাচনের ফলের সঙ্গে সহমত নই। তবু ২০ তারিখ ক্ষমতার স্বাভাবিক হস্তান্তর হবে।"
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে ট্রাম্প বলেন, "আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি, বৈধ ভোটকে মর্যাদা দিতে হবে।একদিক থেকে দেখলে এটা একটা অসম্ভব ভালো সময়ের সমাপ্তি। তবে এই শেষ সমাপ্তি নয়, বরং শুরু, আমরা আমেকিকার শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষায় লড়াই করব।"
বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর আপাতত ক্ষিপ্ত মার্কিন সংবাদমাধ্যমও। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার দুপুরেই। ট্রাম্পের উস্কানিমূলক মন্তব্যের পরই ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালায় ট্রাম্প ঘনিষ্ঠরা। সেই হামলারর জেরে গোটা ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলতে হয় মার্কিন পুলিশকে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ যায় অন্তত ৪ জনের। আহত ৩০-এরও বেশি। ঘটনার জেরে ফেসবুক, ট্যুইটার থেকেও সরিয়ে ফেলা হয়েছে ট্রামের অ্যাকাউন্ট। মার্কিন জনপ্রতিনিধিদের একটা বড় অংশ চাইছেন ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট।