#তেহরান: দুর্ঘটনা নয়। ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইউক্রেনের বিমান ধ্বংস করেছে ইরানই। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অবশেষে মেনে নিল ইরান প্রশাসন। শনিবার বিবৃতি দিয়ে দায়স্বীকার করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। যদিও বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত ভাবেই হয়েছে বলে সাফাই তেহরানের। কয়েকদিন ধরেই আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়ছিল। একে একে মুখ খুলছিলেন কানাডা, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানরা। চাপের মুখে অবশেষে স্বীকারোক্তি ইরানের। ইরানের স্বীকারোক্তি- ৮ই জানুয়ারি ইউক্রেনের যাত্রিবাহী বিমান PS752 দুর্ঘটনায় ভেঙে পড়েনি- ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিমান ধ্বংস করেছে ইরানই
- ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেহরানের আকাশে ভেঙে পড়ে বিমানটি- মৃত্যু হয় বিমানে থাকা ১৭৬ জনের- ইরানের দাবি, ‘ভুলবশত’ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ধ্বংস করা হয়েছে ইউক্রেনের বিমানটিটুইটারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। দুঃখপ্রকাশ করেছেন সেদেশের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জারিফও। তবে সুকৌশলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘাড়েও আংশিক দায় চাপিয়েছে তেহরান। জারিফের কৌশলী টুইট লেখেন, "এটা একটা দুঃখের দিন। আমেরিকার রাজনৈতিক হঠকারিতার জেরে উত্তজনার আবহেই ভুলবশত এই বিপর্যয় হয়েছে । "
A sad day. Preliminary conclusions of internal investigation by Armed Forces:
Human error at time of crisis caused by US adventurism led to disaster
Our profound regrets, apologies and condolences to our people, to the families of all victims, and to other affected nations.
বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি কমান্ডার কাসেম সুলেইমানির মৃত্যুর পর থেকেই সংঘাতের পথে ওয়াশিংটন ও তেহরান। যার প্রভাব পড়েছে গোটা পশ্চিম এশিয়ায়। বদলা নিতে ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটি লক্ষ করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয় বাগদাদের গ্রিন জোনও। যেখানে আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাস রয়েছে। এর পরপরই তেহরানে যাত্রিবাহী বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা। যা প্রথমে দুর্ঘটনা বলেই দাবি করে ইরানি প্রশাসন। শেষমেষ আন্তর্জাতিক চাপের মুখে দায়স্বীকার করতে হল তেহরানকে। ইরানের স্বীকারোক্তি ফিরিয়ে আনল সাড়ে পাঁচ বছর পুরোন এক স্মৃতি। দু’হাজার চোদ্দ সালের সতেরোই জুলাই, ইউক্রেনের আকাশে ভেঙে পড়ে মালেশিয়ার যাত্রিবাহী বিমান MH সেভেন্টিন। প্রাণ হারান দু’শো আটানব্বই জন। রাশিয়ার ভাড়াটে সেনার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রেই বিমানটি ভেঙে পড়ে বলে, সেসময় সরব হয়েছিল আন্তর্জাতিক মহল। যদিও সেই অভিযোগ কোনওদিনই স্বীকার করেনি মস্কো। সাড়ে পাঁচ বছর পর সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার অবশ্য দায়ত্বীকার করতে বাধ্য হল তেহরান।
Published by:Ananya Chakraborty
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।