#দুবাই: ২ বছর আগে ২০১৮ সালে নিখোঁজ হয়ে যান আরব রাজকুমারী লতিফা। কিন্তু কেন? কোথায় হারিয়ে গিয়েছেন তিনি? নাকি পালিয়ে গিয়েছেন? তা নিয়ে দুবছর ধরে চলছে তদন্ত। তবে কয়েকদিন আগেই লতিফা তাঁর বন্ধুদের কাছে একটি ভিডোও পাঠিয়ে জানিয়েছেন, তিনি কোথাও পালিয়ে যাননি। তাঁকে তাঁর নিজের বাবা বন্দি করে রেখেছে দু'বছর ধরে। এমনটাই অভিযোগ এনে এই ভিডিও প্রকাশ করেন দুবাইয়ের রাজকুমারী লতিফা।
লতিফার বাবা শেখ মহম্মদ বিন রশীদ আল মাকতুম বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রপ্রধানদের একজন। দুবাইয়ের শাসক তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট। এর আগে তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রে পালিয়ে গিয়ে শেখের বিরুদ্ধ অভিযোগ করেছিলেন নির্যাতনের। লতিফাও ছোট থেকেই একটু বিদ্রোহি মনোভাবের মেয়ে। সে নিয়ম ভাঙাতেই বিশ্বাস করে। বাবার নিয়ম ও নির্যাতন মেনে নিতে পারছিলেন না বলে, পালাতে চেষ্টা করেছিলেন ২০১৮ সালে। বোটে করে এক বন্ধুর সহায়তায় পালাতে চেষ্টা করেন লতিফা। কিন্তু জল পথে তাঁকে ধরে ফেলে তাঁর বাবার সৈনিকরা। এবং সেই সময় থেকেই তাঁকে বন্দি রাখা হয়।
দুবাইয়ের একটি হোটেলকে কারাগারে পরিনত করে বন্দি করে রাখা হয় লতিফাকে। বাইরে থেকে সব জানালা সিল করে দেওয়া হয়। ঘরের দরজা বন্ধ করার অধিকার ছিল না লতিফার। তাঁকে কোনওরকম চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এমনকি শুধু মাত্র স্নান ঘরে গেলেই দরজা বন্ধ করার অধিকার ছিল। একটি মোবাইল তাঁর কাছে ছিল, যাতে শুধু তাঁর বাবা ফোন করতে পারতেন। তিনি কাউকে ফোন করতে পারতেন না। সেই ফোন নিয়েই লুকিয়ে বাথরুমে গিয়ে নিজের বন্দি দশার কথা ভিডিও করে জানান লতিফা। বন্ধুরা এই ভিডিও দেখেই মানাবধিকার কমিশনকে জানান। এবার কমিশনের তরফ থেকে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন বন্দি করা হয়েছে লতিফাকে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাবার বিরুদ্ধে জঘন্য অভিযোগ এনেছেন লতিফা। এই ঘটনায় এখন বিশ্ব তোলাপার।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।