#ওয়াশিংটন: প্রথমে রাজি না হলেও অবশেষে কোভিড রিলিফ বিলে অবশেষে সই করলেন তিনি।মানুষের সমর্থন হয়তো কিছুটা পাবেন।মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ারে আর বেশিদিন নেই তিনি। কয়েকদিন পরেই দায়িত্ব নেবেন নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবুও যাওয়ার আগে চিনের টেনশন বাড়িয়ে দিয়ে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একটি নতুন আইনে সই করেছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কয়েকদিন আগেই মার্কিন কংগ্রেস তিব্বত নীতি সহায়ক আইন পাশ করেছিল। ট্রাম্প সই করে দেওয়ায় এবার তা সম্পূর্ণ আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হল। এর ফলে পরবর্তী দালাই লামা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে চিন বা অন্য কোনও দেশের সম্মতির দরকার হবে না তিব্বতীদের। নিজেদের পছন্দ মত ধর্মগুরু বেছে নিতে পারবেন তাঁরা। সেই ১৯৫৯ সালে চিন থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন ১৪ তম দালাই লামা। তারপর থেকে ধর্মশালায় থাকেন তিনি।
ভারতে কমপক্ষে এক লক্ষ তিব্বতি রয়েছেন। ইউরোপ এবং আমেরিকাতেও রয়েছেন কিছু মানুষ। এই আইনে বলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে চিনা দূতাবাস বাড়াতে গেলে সবার আগে তিব্বতের রাজধানী লাসায় মার্কিন দূতাবাস তৈরির ছাড়পত্র দিতে হবে চিনকে। দালাই লামা বাছার ক্ষেত্রে তৃতীয় দেশের মতামত গুরুত্বহীন। তিব্বতের মানুষের জন্য কয়েক মিলিয়ন ডলার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। মেধাবী তিব্বতি ছাত্রছাত্রীরা স্কলারশিপ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পড়তে যেতে পারবেন। আমেরিকার এই পদক্ষেপে রেগে লাল চিন।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন,"আমরা আমেরিকাকে আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে অনুরোধ করছি। এমন কিছু করবেন না যা আমাদের সহযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষতি করে"। এমনিতে নির্বাসিত দালাই লামাকে চিন বরাবর বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে গণ্য করে এসেছে। কয়েকদিন আগে জিনপিং সরকার জানিয়ে দেয় পরবর্তী দালাই লামার উত্তরসূরি বাছার ক্ষেত্রে বেজিংয়ের অনুমোদন জরুরি। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের সই করা নতুন আইন চিনের দাবিতে জল ঢেলে দিল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: China, Donald Trump