#ওয়াশিংটন: তিনি বিতর্ক ছাড়া থাকতে পারেন না। একদিকে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ড্যামোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেনের সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে কমলা হ্যারিসের নাম উঠে আসায় অনেকেই সাধুবাদ দিচ্ছেন, তখনই লিঙ্গবৈষম্য মূলক মন্তব্য করে বসলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ফক্স স্পোর্টস রেডিওতে একটি ফোন দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘জো বাইডেন এমন করে একজন মহিলাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করার জন্য নির্বাচিত করায় পুরুষরা মুখ ফেরাতে পারেন। পুরুষদের মনে হতে পারে, তাঁদের অপমান করা হয়েছে। আবার একদল লোক বলতে পারে, ঠিক আছে, প্রার্থী নিয়ে অসুবিধা নেই। কিন্তু বাইডেন একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করে ভোট আদায় করতে চাইছেন, সেটা স্পষ্ট।’
এখানেই থামেননি ট্রাম্প। তাঁর কথার পিঠে কথায় এসে পড়েছেন আব্রাহাম লিঙ্কন, জর্জ ওয়াশিংটনের কথাও। ট্রাম্প বলেছেন, ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের কে দাঁড়াল, সেটা কোনও বিষয়ই নয়। মৃত্যু থেকে তুলে এনে আপনারা আব্রাহাম লিঙ্কন বা জর্জ ওয়াশিংটনকে ভোটে দাঁড় করিয়ে দিতে পারেন। কেউ ভাইস প্রেসিডেন্টকে দেখে ভোট দেয় না।’ যদিও কমলা হ্যারিসের নির্বাচন ইতিমধ্যে বেশ নাড়াচাড়া ফেলে দিয়েছে। প্রথমত কৃষ্ণাঙ্গ তিনি। ফলে কৃষ্ণাঙ্গ ভোটব্যাঙ্ক তাঁর দিকে ঝুঁকে থাকতে পারে। কিন্তু সেখানেও একটা প্রশ্ন আছে, কমলা হ্যারিসের প্রতি দেশের কৃষ্ণাঙ্গরা যে আগে খুব একটা খুশি নন, তার প্রমাণ মিলেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন ও সান ফ্রান্সিসকোর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি হিসেবে কাজ করার সময়ে তাঁর কিছু সিদ্ধান্তে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গরা। তাঁর জন্ম অকল্যান্ডে। বাবা জামাইকার। মা ভারতীয়। ২০০৩ সালে প্রথম ভোটে জিতে সান ফ্রান্সিসকোর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি হন। ২০১৬ সালে প্রথম সেনেটর হিসেবে নির্বাচিত হন।
এছাড়া, এর আগে কোনওদিন কোনও মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে হোয়াইট হাউজে ঢুকতে পারেননি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকানদের সারহা বপালিন ভোটে দাঁড়িয়ে হেরেছিলেন, ১৯৮৪ সালে জেরাল্ডিন ফ্যারারোর একই দশা হয়েছিল। তবে এবার চাল উল্টে দেওয়ার বাজি রেখেছেন বাইডেন। কিন্তু তাতে ফল বিশেষ ভাল হবে না বলেই মনে করছেন ট্রাম্প।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Donald Trump, Joe Biden, Kamala Harris, USA President Election 2020