#ওয়াশিংটন: একের পর এক ঝড়ে ক্রমে বিদ্ধস্ত হয়ে পড়ছে আমেরিকার। আমেরিকার উপকূলে অংশে বর্ষাকালীন ঝড় হিসাবে একের পর এক হ্যারিকেন আছড়ে পড়ছে। কয়েকদিন আগেই সেখানে আছড়ে পড়ে হাইসেন। তার আগে ফ্লোরিডা উপকূলে আছড়ে পড়ে ঝড় লরা। এবার ধেয়ে আসছে ঝড় সালি। ম্যাক্সিকো উপকূল ও আমেরিকার একটি অংশে এটির প্রভাব পড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। তারপর এটি বারমুডার স্থলভাগে গিয়ে আঘাত করবে বলে খবর। আপাতত গভীর নিম্নচাপের মারণ রূপ নিয়ে সাগরে শক্তি সঞ্চয় করছে এই মৌসুমী ঝড়। আমেরিকান হ্যারিকেন সেন্টারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি এস পর্যায়ের হ্যারিকেন হিসাবে প্রবল দাপটের সঙ্গে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে।
সোমবার পর্যন্ত সালি একটি মৌসুমী ঝড় হিসাবেই অবস্থান করবে, তারপর শক্তি বাড়িয়ে ফ্লোরিডা ও আলাবামা, মিসিসিপি ও লিউসিনিয়ার উপকূল অংশে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে। গত মাসের লরা হ্যারিকেনের মারাত্মক প্রভাব এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি লিউসিনিয়া, তার মধ্যই নতুন আতঙ্ক এসে হাজির হয়েছে এই শহরের উপকূলে। লরা ঝড়ের ফলে সে শহরে প্রায় ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। একদিকে করোনার ধাক্কা, তার মধ্যে ঝড়ের দাপট নতুন করে সংকট তৈরি করেছে সাধারণ মানু্ষের জীবনে। লরার গতিবেগ ছিল প্রায় ১৫ কিমি প্রতি ঘন্টায়। যার ফলে ঝড়ের মাঝপথে যা পড়েছে, তাই তছনছ হয়ে গিয়েছে। বহু বাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগহীন হয়ে পড়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। বুধবার থেকে ৩ ইঞ্চি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এই অংশে। তবে বর্ষার থেকেও চিন্তা বাড়াচ্ছে ঝড়ের গতি। সেই সঙ্গে যদি হড়পা বানের মতো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে। তবে ঝড়ের গতিবেগ কত থাকতে পারে, তা এখনও স্পষ্ট করে বলা যায়নি, কারণ এখনও নিম্নচাপ হিসাবেই এটি অবস্থান করছে সমুদ্রে।