কেউ প্রিয়জনকে হারিয়েছন, কেউ খুঁইয়েছেন চাকরি। গোটা ২০২০ সালটা যেন ছিল এক গভীর দুঃখের নদী যা মিলিয়ে দিয়েছিল দেশকাল ভেদে অযুতম মানুষকে। সেই বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন আরোগ্যের ভোরকে স্বাগত জানাতে একজোট হল গোটা বিশ্ব।
আন্তর্জাতিক সময়মানের তারতম্যের জন্য নতুন বছরকে সবার আগে আমন্ত্রণ জানাতে পারে নিইজিল্যান্ড। এদিন সেখানেই নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ১ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতার স্কাই টাওয়ারে এক বিশাল ঘড়ির সামনে ১২টা বাজার অপেক্ষা শুরু করেন সাধারণ মানুষ। শুরু হয়ে যায় কাউন্টডাউন। অবশ্য সবার আগে বর্ষবরণের সুযোগ পায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ সামোয়া।
সিডনিতে এবার অপেরা হাউজে বাজি পোড়ানো বন্ধ ছিল। প্রতিষেধকের আশায় দিন গোনা অস্ট্রেলিয়রা অভিশপ্ত বছরটাকে বিদায় জানায় টিভিতে সম্প্রচার দেখেই।
ব্রিটেনে বর্ষশেষের দিনটা ছিল স্বাস্থ্যকর্মীদের সেলাম জানানোর দিন। ৩০০ ড্রোনের ব্যবহারে আলো আর আতসবাজিতে স্বাগত জানানো হয় নতুন বছরকে, আলোতেই ফুটে ওঠে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধার বার্তা। নতুন করোনা ভাইরাস উদ্বেগ চরমে তুলেছে, ফলে মানুষজনকে রাস্তায় না বেরোতেই নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। যদিও তার পরেও উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে কোথাও কোথাও। এডিনবার্গ ক্যাসেলের সামনে জড়ো হয়েছে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। ভিড়ে ঠাসা হাংফোর্ড ব্রিজ অস্বস্তি বাড়িয়েছে প্রশাসনের। কড়া লকডাউনের মধ্যে স্কটল্যান্ড, নর্দান আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দারা অব গোটাটাই দেখেছেন টিভিতে।
ইতালি, স্পেনের বাসিন্দারাও নতুন বছরকে স্বাগত জানালেন শ্যাম্পেন ফোয়া গ্রা আর ঘরোয়া খাবারেই। নাইট কার্ফুর মধ্যেই ফোনে ফোনে বার্তা গেল, ভালো থাকার ভালো রাখার। আর রাতজাগা, স্বপ্নে বিভোর বাঙালির স্ক্রিনে স্ক্রিনে ফুটে উঠল বার্তা- নতুন বছরে 'ঘুচে যাক জ্বরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।'