#মিউনিখ: আইসোলেশন মানে একা থাকা!। সোশ্যাল ডিসট্যানন্সিং মানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। করোনার মতো মারণ ছোঁয়াচে ব্যাধি যাতে আরও মানুষদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্যই এই শব্দবন্ধগুলি শেষ কয়েকদিন ধরে বারবার উঠে এসেছে আলোচনায়। অর্থাৎ রোগ যদি সারাতে হয়, তাহলে মানুষের সংস্পর্শে যত সম্ভব কম আসতে হবে। যত সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের সঙ্গে নিজের যোগাযোগ। যোগাযোগ ফোন ইন্টারনেট থাকতে পারে কিন্তু খুব কাছে গিয়ে কথাবার্তা বলা বা একেবারেই নয়। গোটা পৃথিবীতে এখন এই নিয়ম, কিন্তু সেসব নিয়ম যেন খাটেই না থাইল্যান্ডের রাজার জন্য।
বিশ্ব যখন আক্রান্ত সাড়ে সাত লাখের কাছাকাছি, তখন থাইল্যান্ডের ৬৭ বছরের রাজা তিনিও গেলেন সেল্ফ আইসোলেশন। কিন্তু এ কেমন আইসোলেশন? যেখানে রাজার সঙ্গী তাঁর হারেমের ২০ সেবিকা! সঙ্গে রইলেন বেশ কয়েকজন পদস্থ কর্মচারী, রইলেন দেহরক্ষীরা। এমনিতেই রাজার রানির সংখ্যা চার। তার সঙ্গে আরও ২০ জন মহিলা মিলিয়ে এ যেন এক উৎসবের আয়োজন। রাজার নাম ভাজিরালংকর্ন। তাঁর নামে বুকিং করা হয়েছে জার্মানির একটি বিলাসবহুল হোটেল। পুরো হোটেলটাই নাকি তিনি বুক করে নিয়েছেন। কারন কথাটা সেল্ফ আইসোলেশন হলেও তিনি তো আর একা নন, তার সঙ্গে রয়েছেন তার মহিলা সঙ্গীরা। যাঁরা রাজাকে এই কয়েকদিন একাকিত্বের মাঝে সঙ্গ দিয়ে সময় কাটাবেন।
কয়েকদিন আগেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে সেল্ফ আইসোলেশনে গিয়েছেন মালয়েশিয়ার রাজবাড়িক রাজদম্পতি। আর তাই থাইল্যান্ডের রাজা ভাবলেন নিরাপদে থাকাই ভালো।
যদিও এই ঘটনার পর টুইটারে ট্রেন্ড করতে শুরু করেছে ‘আমাদের রাজার কী দরকার?’ এই প্রশ্নটা। থাইল্যান্ডের মানুষরা এই প্রশ্নই করছেন। এখনও পর্যন্ত থাইল্যান্ডের আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৮৮ জন। তার মধ্যে মারা গিয়েছেন সাত জন। এই পরিস্থিতিতে রাজার এই বিলাসবহুল লাস্যময় ‘সেলফ আইসোলেশন’ মানুষের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Slef isolation, Thailand King