#টেস্কাস: সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যায়, একটি ন’বছরের শিশু কন্যা কাঁদতে কাঁদতে বলছে কীভাবে তাঁকে প্রতিদিন যৌন অত্যাচার করে মায়ের প্রেমিকা। শুধু তাই নয়, এর আগেও একের পর এক সাংকেতিক ভাষায় চিঠি লিখেছিল সে। বাবাকে লেখা সেই সব চিঠিতে জানিয়েছিল, কীভাবে মায়ের প্রেমিক রোজ যৌন অত্যাচার করে। কারণ, একা মায়ের কাছে থাকত সে। তাই রোজ তাঁকে সব সহ্য করতে হয়েছে।
ন’বছরের সোফিয়া টেক্সাসের মিশেল ও কেলির সন্তান। ঝামেলার কারণে ২০১৫ সালে বিচ্ছেদ হয় এই দম্পতির। সেই থেকে মায়ের কাছেই আছে সোফিয়া। প্রাথমিক ভাবে মা বাবা সমান ভাবে সন্তানের দায়িত্ব নেবে বলে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের দু’জনের মধ্যে তিক্ততা বাড়তে থাকায়, মায়ের কাছেই সন্তানকে রাখতে বলে আদালত। এরপরেই একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সে তাঁর দিদাকে বলছে, কীভাবে মায়ের প্রেমিক দিনের পর দিন যৌন হেনস্থা করেছে। গত ১৪ অগাস্ট সেই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। তারপর থেকে প্রচুর শেয়ার হতে থাকে এই ভিডিওটি। শুরু হয় ক্যাম্পেন ‘স্ট্যান্ড উইথ সোফিয়া’। কিন্তু তারপর আদালত এই সোশ্যাল মিডিয়ার ক্যাম্পেনের কথা শুনতে চায়নি। বরং আদালত নির্দেশ দিয়েছে, দুই ভাইকে নিয়ে মায়ের সঙ্গেই থাকতে, সপ্তাহ শেষে বাবার কাছে যেতে।
এরপরেই ডেইলি মেল নামে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা একটি চিঠি উদ্ধার করে, সেখানে দেখা যায়, সাংকেতিক ভাষায় বাবাকে নিজের অবস্থার কথা জানাতে চেষ্টা করছে শিশুটি। এছাড়া, প্রতিদিন যে মা আর তাঁর প্রেমিক ঝগড়া করছে, সেই কথাটাও চিঠিয়ে সাংকেতিক ভাষায় লিখেছিল মেয়েটি। শুধু তাই নয়, একের পর এক অভিযোগ করেছে সে। সে লিখেছে, তার থেকে সমস্ত কিছু নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে সে লিখেছিল, বাবাকে সে কতটা মিস করে। আর তার অবস্থা থেকে রক্ষা করার জন্য বাবাকে বারবার অনুরোধ করেছে সে। বলেছে, তাঁর কান্না থামাতে বাবাকে কিছু একটা করতে হবে। পাশাপাশি সে অনুরোধ করেছে আরও স্ট্যাম্প ও খাম পাঠাতে যাতে সে চিঠি লিখে পরিস্থিতিটা জানাতে পারে।