আমেরিকার আরবানা ইলিনয়েসের ঘটনায় চমকে গিয়েছে সে দেশের প্রশাসন। অ্যালিসা এলিজাবেথ গুস্তাফসন আরবাবা ইলিনয়েসের একটি স্কুলে পড়াতেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেখানেই পড়ুয়াদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। নিয়মিত যৌন সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ১৪ বছরের এক ছাত্রের সঙ্গে। তারপর স্নানের পোশাকে, অন্তর্বাস পড়ে ছবিও পাঠাতেন তিনি। ফোন মারফত চলত সেক্সটিং। তাই নিয়েই এখন তোলপাড় পড়ে গিয়েছে এলাকায়। কারণ, পুলিশের কাছে নিজের মুখে তিনি স্বীকার করেছেন এই অপরাধ।
আগামী শুনানির তারিখ ২০ অক্টোবর। সেদিন সাজা ঘোষণার আগে কয়েকদিন আগেই পুলিশের জেরার মুখে ভেঙে পড়ে সবটা স্বীকার করে নেন ২৪ বছরের শিক্ষিকা। পাশাপাশি তিনি বলেন, অপরাধ মাফ করার কথাও বলেন। কিন্তু বিচারপতি সেটি বাতিল করে দিয়েছেন। তাঁর আইনজীবী সামাজিক কাজেই শাস্তি সীমাবদ্ধ রাখতে আবেদন করেছেন। তবে শিক্ষিকা স্বীকার করেছেন, শুধু জোর করে যৌনতায় লিপ্ত হওয়াই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও তিনি যুক্ত হতেন ছাত্রদের সঙ্গে। সেখানে নোংরা ছবি পাঠাতেন।
এই অভিযোগ প্রথমে করেছিলেন এক ছাত্রের মা। যিনি অভিযোগ করেছেন, শিক্ষিকার এই ব্যবহারের ফলে তাঁর সন্তান অবসাদে চলে গিয়েছে। তাই কঠিন থেকে কঠিনতর সাজা দেওয়া চাই। তিনি বলেছেন, একদিন, দু’দিন নয়, দিনের পর দিন, পরপর নোংরা মেসেজ করতেন ওই শিক্ষিকা। সেখানে টেক্সট তো ছিলই, ছিল ভিডিও, ছবি আরও অনেককিছু। আমি বুঝতেই পারিনি একজন শিক্ষিকা এভাবে একজন অপ্রাপ্তবয়স্কের প্রতি এমন লালসা থাকতে পারে একজন মহিলার। ঘটনার পর অবশ্য স্কুলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাঁদের মূল লক্ষ্য এখন স্কুলের ছাত্রদের মানসিক ও শারীরিক নিরাপত্তা। সে বিষয়ে তাঁরা কোনওরকম আপোষ করবেন না। সেই কারণেই ওই শিক্ষিকাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর যাঁরা এখন শিক্ষক হিসাবে চাকরি করছেন, তাঁদের উপরেও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে। যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Viral News