#ওয়াশিংটন: এর আগে ওবামা (Barrack Obama) প্রশাসনে গুরু দায়িত্ব সামলেছিলেন। বাইডেনের (Joe Biden) নির্বাচনী প্রচারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এ বার বাইডেন টিমের এক বড় দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নিলেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত। প্রেসিডেন্সিয়াল ইনঅগরাল কমিটির সদস্য হলেন তিনি। নাম মাজু ভার্গিস। আসুন জেনে নেওয়া যাক পেশায় আইনজীবী বাইডেন টিমের এই ভারতীয়কে।
চার সদস্যের এই প্রেসিডেন্সিয়াল ইনঅগরাল কমিটিতে (PIC) মাজু ভার্গিসের নাম প্রস্তাব করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস (Kamala Harris) স্বয়ং। এই কমিটিই জানুয়ারি মাসের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের যাবতীয় আয়োজন করবে। এ ক্ষেত্রে টিমে থাকছেন টনি অ্যালেন (Tony Allen)। টিমের চিফ একজিকিউটিভ অফিসারের পদ সামলাচ্ছেন তিনি। মাজু ভার্গিস (Maju Varghese ) টিমের একজিকিউটিভ ডিরেক্টর। এরিন উইলসন (Erin Wilson) হলেন টিমের ডেপুটি একজিকিউটিভ ডিরেক্টর।
Humbled and proud to serve on @BidenInaugural It won't be easy but being able to help plan the swearing in of an American President, when your parents grew up on the other side of the world, is an honor. Hope to do @JoeBiden, this team, my family and this country proud.🇺🇸 https://t.co/T5fd7DVUTK
এই বিষয়ে এক বিবৃতিতে ভার্গিস জানিয়েছেন, ইনঅগরাল টিমের অংশ হতে পেরে অত্যন্ত খুশি তিনি। আমেরিকার জনস্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও পুরো জাতির স্থিতাবস্থা ফেরাতে তথা রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তাঁদের এই প্রয়াসের সূচনা পর্বের দিকে তাকিয়ে সবাই। আর এই রকম শাসকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কার্যকলাপে অংশ নিতে পেরে তিনি সম্মানিত।
প্রসঙ্গত, বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচার অভিযানেরও অংশ ছিলেন ভার্গিস। জাতীয় স্তরে একাধিক কর্মসূচি ও অভিযানে গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন তিনি। এমনকি করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের জেরে যখন পরিস্থিতির বদল ঘটে, তখনও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পদক্ষেপে বাইডেন টিমে কাজ করছিলেন ভার্গিস।
Family, faith, hope and kindness. These two heroes provided a daily lesson. I can’t thank my parents enough for everything. We found this photo from around 1984, about a decade into their American journey. Miss my Dad but that hope....it never dies. pic.twitter.com/lUFjC3Zj5l
পেশায় আইনজীবী ভার্গিসের বাবা-মা প্রথমে কেরলের তিরুভাল্লায় থাকতেন। ২০১৯ সালে ট্যুইটারেই নিজের ভারত-যোগ ও বাবা-মায়ের আমেরিকায় (America) আসার গল্প সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলেন ভার্গিস। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর মা ভারতের বাসিন্দা ছিলেন। নার্সের কাজ করতেন। বেশিরভাগ সময় ডিউটিতেই কাটত মায়ের। অন্য দিকে, বাবা নিউ ইয়র্ক সিটিতে ক্যাব চালাতেন। আর তার ফাঁকে একটি হাসপাতালে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করতেন।
I lost my Dad 6 years ago. In the years since, like @JoeBiden mentioned, I ask myself if I make him proud. This hero and my Mom gave me a shot at an amazing life and a chance to chase every dream. Like the VP said tonight, “hope never dies”. It never does. Thanks, Boss. pic.twitter.com/KivuppVDJc
এর আগে বারাক ওবামার প্রশাসনিক দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন ভার্গিস। এর মধ্যে ম্যানেজমেন্ট ও অ্যাডমিনিস্ট্রেশন টিমে প্রেসিডেন্টের সহায়ক ও ডেপুটি ডিরেক্টর অফ অ্যাডভান্স হিসেবে তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। কয়েক বছর আগে ভার্গিসের মা যখন ওবামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, সে দিনের মুহূর্তও Twitter-এ শেয়ার করেছেন ভার্গিস।
Mom,a nurse from India,logging long hours. Dad drove a cab in NYC, later worked long hours as a hospital security guard.Although we lost Dad to illness before this, our Mom got to cross the threshold to the Oval Office to meet the Boss, @BarackObama in 2017.Eternally grateful 🇺🇸 pic.twitter.com/5t0qwhrQHS
এই গুরুত্বপূর্ণ পদগুলি ছাড়াও হাব প্রোজেক্টে মুখ্য কার্যনির্বাহী বা চিফ অপারেটিং অফিসার ও ল' ফার্ম ডেন্টনস সিনিয়র অ্যাডভাইজার বা শীর্ষ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছিলেন ভার্গিস। University of Massachusetts থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে ডিগ্রি কোর্স করেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, পঞ্চম ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি হলেন ভার্গিস, যাঁকে বাইডেনের টিমে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হচ্ছে।