সাত বছর আগে মৃত বাবাকে Google Earth-এ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল ছেলে !
তাঁর এই পোস্ট দেখে আপ্লুত হয়ে যায় নেটিজেনদের একাংশ। আবেগপ্রবণ হয়ে যায় অনেকেই। পোস্টটি ৬ লক্ষ ৯১ হাজারেরও বেশি লাইক পায় এবং শেয়ার-রিট্যুইট হয় এক লক্ষেরও বেশি!
#টোকিও: বাবা ছেড়ে চলে গিয়েছেন সাত বছর আগে। সেই বাড়িতে আর থাকেন না ছেলে। কিন্তু বাড়ির কথা আর পাঁচটা মানুষের মতো তাঁরও মনে পড়ে। যেখানে বেড়ে ওঠা, যেখানে শৈশব কাটানো সেই বাড়ি, সেই স্মৃতি ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। জাপানের এক ব্যক্তিকে সেই স্মৃতিই ঘুরে দেখতে সাহায্য করল Google Earth। সাত বছর পর তিনি দেখা পেলেন বাবার।
লকডাউনে বাড়ি বসে অনেকেই বিরক্ত হয়েছেন, কাজ নেই ফলে সারা দিনই প্রায় অবসর। এই অবসর কাটাতে তাই বেশিরভাগ মানুষই সিনেমা দেখেছেন, বন্ধুদের সঙ্গে ভিডিও কলে গল্প করেছেন। কেউ কেউ রান্না শিখেছেন। কেউ বা Google Earth-এ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেছেন। যেখানে যেতে চান বা আগে ঘুরে এসেছেন এমন জায়গায়ও Google Earth-এর মাধ্যমে ভার্চুয়ালি ঘুরে আসা সম্ভব হয়েছে।
এই ভার্চুয়ালি ঘুরে আসতে গিয়েই জাপানের এই ব্যক্তি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। অবসর কাটাতে গিয়ে চোখে পড়ে পুরনো দিনের স্মৃতি।
@TeacherUFO নামের ট্যুইটার (Twitter) ব্যবহারকারী ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, Google Earth-এ তিনি তাঁর বাবার ছবি দেখতে পান। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁর বাবা। হয়তো তাঁর মায়ের জন্যই অপেক্ষা করছেন। মৃত্যুর সাত বছর পর এভাবে বাবাকে দেখতে পেয়ে অবশ্যই একটা ভারী আবহাওয়া তৈরি হয়। তিনি পোস্টে জানিয়েছেন, করোনার সময়ে তাঁর কিছু করার ছিল না তাই তাঁর বাড়িটা Google Earth-এর মাধ্যমে দেখতে শুরু করেন। আর তখনই বাবাকে দেখতে পান। বাবা নিশ্চয়ই মায়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তার পরই তিনি লেখেন, তাঁর বাবা অত্যন্ত শান্ত এবং সদয় ব্যক্তি ছিলেন।
বাড়ির সামনে এ ভাবে বাবাকে দেখতে পাওয়ায় তিনি Google Earth-এর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে এই ছবি তারা পালটে না ফেলেন। সামনা-সামনি বাবাকে না দেখতে পান, ভার্চুয়ালি তো পাবেন!
তাঁর এই পোস্ট দেখে আপ্লুত হয়ে যায় নেটিজেনদের একাংশ। আবেগপ্রবণ হয়ে যায় অনেকেই। পোস্টটি ৬ লক্ষ ৯১ হাজারেরও বেশি লাইক পায় এবং শেয়ার-রিট্যুইট হয় এক লক্ষেরও বেশি!
অনেকেই কমেন্টে লেখেন, যদিও Google নতুন ফোটো আপলোড করে ওই এলাকায়, তা-ও পুরনো ছবি দেখতে পাওয়া যাবে। এটা নিয়ে চিন্তার ব্যাপার নেই। পুরনো ছবি ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ থেকে অনায়াসেই দেখা যাবে।
এটিই প্রথম নয়, এর আগেও একজন যুবতী তাঁর দাদু-ঠাকুমার বাড়ি Google Street View-এর মাধ্যমে ঘুরে দেখতে গিয়ে দাদুর ছবি খুঁজে পান। যিনি ২০১৬ সালে মারা গিয়েছেন।