#টোকিও: করোনাভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ আর তার জেরে লকডাউন আমাদের আর কিছু না হোক, সুস্বাস্থ্যের মূল্য বুঝতে খুব ভালো রকম ভাবেই শিখিয়ে দিয়েছে। আমরা উপলব্ধি করেছি যে ফিটনেসের বিকল্প হয় না, তা একই সঙ্গে শরীরের পাশাপাশি মনটিকেও ভালো রাখে। লকডাউনের জীবনে যাঁদের কোনও রকম অভাব ছিল না, তাঁরা পাশাপাশি নিজেদের সৌভাগ্যের দিকটিও উপলব্ধি করতে পেরেছেন। কিন্তু যে সব মানুষের ঘর নেই? পথই যাঁদের একমাত্র আশ্রয়? তাঁরা কী ভাবে টিঁকে থাকছেন এই কঠিন সময়ে?
বিশ্বদরবারে সেই গল্প সবাইকে মাথা উঁচু করে বলতে পারেন ভারতের এক মেয়ে। তাঁর নাম নূপুর তেওয়ারি। সে-ই ২০০৩ সাল থেকে জাপানে আছেন নূপুর, কাজ করে চলেছেন সেখানকার মানুষদের জন্য। যোগব্যায়াম প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে জাপানবাসীর হাতে তিনি তুলে দিচ্ছেন সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। পাশাপাশি, জাপানের গদগৃহহীন মানুষদের জন্যও অক্লান্ত ভাবে কাজ করে চলেছেন নূপুর। এ ক্ষেত্রে শুধুই শারীরিক প্রশিক্ষণ নয়, প্রয়োজন আরও অনেক কিছুরই। বিশেষ করে খাবার তো বটেই! না হলে এই সব মানুষেরা বেঁচে থাকার মতো জোরটুকুও পাবেন না!
তাই নতুন বছরের শুরুতেই জাপানের শীতলতম তাপমাত্রাকে উপেক্ষা করে নূপুর বেরিয়ে পড়েছিলেন এক পদযাত্রা। জাপানের টোকিওর সিনজিকু শহরের দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে তিনি গৃহহীনদের খাবার আর ফেস মাস্ক বিতরণ করেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন যে বর্তমান পরিস্থিতির জীবনযুদ্ধে টিঁকে থাকতে গেলে কী সবার আগে প্রয়োজন!
খবর মোতাবেকে, নূপুর এই যাত্রা শুরু করেছিলেন সিনজুকির বিখ্যাত বুদ্ধমন্দির সেনসোজি থেকে। যাত্রার শুরুতেই ভগবান বুদ্ধের মন্দিরে পুজো দিয়ে সকলের মঙ্গল কামনা করেন নূপুর। জানান যে নতুন বছরে সকলের সার্বিক কল্যাণের লক্ষ্যে এটাই তাঁর প্রথম পদক্ষেপ। এর পরে ভগবানকে স্মরণ করে নূপুর বেরিয়ে পড়েন তাঁর দানকার্যে।
নূপুর জানিয়েছেন যে জাপানে নতুন বছর খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পালন করা হয়ে থাকে। তাই তিনি একেবারেই চাননি যে এ হেন আনন্দের দিনে পথের মানুষেরা না খেয়ে থাকুন! পাশাপাশি, স্বাস্থ্যরক্ষার বার্তা দিতেই তাঁর এই পদযাত্রা, সেটাও উল্লেখ করতে ভোলেননি তিনি।