#নিউ ইয়র্ক: বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বহু বিপদ আস্তে আস্তে চারপাশ থেকে আমাদের ঘিরে ধরছে। প্রতি মুহূর্তেই পৃথিবীর বুকে টলমল করছে আমাদের অস্তিত্ব। বিজ্ঞানীরা একের পর এক সতর্কবার্তা দিয়ে চলেছেন। তবুও এই নিয়ে অনেকেই উদাসীন। বহু মানুষ এ-ও দাবি করছেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের তেমন কোনও প্রভাব দেখা যায়নি। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, সেটা ঠিক নয়। বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব জলবায়ু পরিবর্তনে রয়েছে এবং তার অন্যতম প্রভাব পড়ছে স্টারফিশদের উপরে।
বেশ কিছু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, স্টারফিশদের SSWD বা সি স্টার ওয়েস্টিং ডিজিজ বলে একটি রোগ হচ্ছে। যাতে তাদের শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর এই রোগের কারণ জলের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তন। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এর ফলে, কয়েক বছরের মধ্যেই এই প্রজাতিটির বিলুপ্তও হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কর্নেল ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক ইয়ান হেওসন বিশ্লেষণ করেছেন, কী ভাবে এই রোগটি স্টারফিশদের উপরে প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধরনের সামুদ্রিক প্রাণিদের শরীরে পাপুলে নামক একটি জিনিস থাকে। যা তাদের ত্বকের উপরের অংশে থাকে। এই পাপুলের মাধ্যমেই বিশেষ করে স্টারফিশরা শরীরে অক্সিজেন ছড়িয়ে দেয়। এর মাধ্যমেই এই মাছেরা শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে থাকে।
তাপমাত্রা বাড়লেই সমুদ্রে মাইক্রোবায়াল অ্যাক্টিভিটি বেড়ে যায় ও ব্যাকটিরিয়ারা বেশি অক্সিজেন শোষণ করে। এই পরিস্থিতিতে স্টারফিশদের SSWD রোগটি অতিরিক্ত বেশি মাত্রায় দেখা যাচ্ছে এবং ত্বক কুঁচকে যাওয়া ও স্টারফিশের ত্বকে বর্ণহীনতা দেখা দিচ্ছে।
আর এই সমস্যাটি একদম নতুন নয়। বিগত সাত বছর ধরে এই রোগ স্টারফিশদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে। এই রোগের শিকার হচ্ছে আরও অনেক সামুদ্রিক প্রাণিই।
কর্নেল ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক ইয়ান হেওসন আরও জানান, এই রোগটা যে শুধু কয়েকটি স্টারফিশের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে এমন নয়, এই রোগ ছড়িয়েও পড়ছে একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যদি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে কোনও স্টারফিশ মারা যায়, তা হলে তার পাশের স্টারফিশের মধ্যেও সেই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই তিনি সমুদ্র-বিশারদদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলা জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন এবং সমুদ্রিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এই রোগ যাতে ছড়িয়ে না পরে তার দিকে খেয়াল রাখার কথা বলছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।