#লন্ডন: বিশ্বে প্রথম করোনা টিকা (Covid Vaccine) হিসেবে অনুমতি পেয়েছে ইংলন্ডের Pfizer/BioNTech। যার প্রয়োগ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ইংলন্ডে (England)। সম্প্রতি এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে আমেরিকাও (America)। এতে খানিকটা স্বস্তি মিলেছে সেখানকার মানুষজনের মধ্যে। তবে, এই মুহূর্তে দুই দেশেই শুধুমাত্র মুমূর্ষ রোগীর উপরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করার অনুমতি মিলেছে। আমেরিকায় ৩ লক্ষের কাছাকাছি মৃত্যুর হার। ফলে এ দেশে খুব অসুস্থ যারা তাঁদের উপরেই এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে। কানাডাও এর প্রয়োগ শুরু করে দিয়েছে। যাদের ভ্যাকসিন নিয়ে আশা দেখছে মানুষ, যাদের ভ্যাকসিন প্রয়োগে বাঁচতে পারে বহু মানুষের প্রাণ, যাদের ভ্যাকসিনের জন্য আজ তাকিয়ে বহু মানুষ, সেই সংস্থা অর্থাৎ Pfizer-এর CEO-ই না কি এই ভ্যাকসিন পাননি। আর এখন পাবেনও না। আর এই বিষয়টি জানাজানি হতেই হইচই পড়েছে বিভিন্ন মহলে। CNN-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, Pfizer-এর CEO Albert Bourla এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাকসিন নেননি। তিনি এই মুহূর্তে এই ভ্যাকসিন নিতেও পারবেন না। শুধু তিনিই নন, তাঁর সঙ্গে এই ভ্যাকসিন তৈরিতে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা কেউই এখন এই ভ্যাকসিন পাবেন না। শুনতে অদ্ভুত লাগছে? অদ্ভুত নয়, আসলে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন Albert Bourla। CNN-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, কেন তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। Bourla বলেছেন, ভ্য়াকসিন তৈরি হয়ে গেলেও তার খুবই সীমিত ডোজ তৈরি হয়েছে এখনও পর্যন্ত। যে ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিতে পরিমাণ অনেকটাই কম। ফলে এই মুহূর্তে করোনায় (Covid 19) আক্রান্ত হয়ে খুবই অসুস্থ যাঁরা, তাঁদের উপরেই কেবল এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে। পাশাপাশি যাঁরা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একদম সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়ছেন, তাঁদের জন্য এই ভ্যাকসিন উপলব্ধ। ফলে তাঁদের আগে ভ্যাকসিন না দিয়ে নিজে ভ্যাকসিন নেওয়ার বিরুদ্ধে তিনি। Bourla আরও জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে তিনি কোনও ভাবেই সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়ছেন না। তাঁর বয়স ৫৯ এবং তিনি সুস্থ। তাই এই ভ্য়াকসিনের প্রয়োজন এখন তাঁর নেই। একই ভাবে তাঁর সঙ্গে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরাও নিচ্ছেন না ভ্যাকসিন। তবে, Bourla নিজেই নিচ্ছেন না ভ্যাকসিন শুনে অনেকেই প্রথমে ভ্রু কোঁচকান। অনেকেই বলতে শুরু করেন, তা হলে নিশ্চয়ই কোনও সমস্যা আছে। তবে, পরে তাঁর কথা জানতে পেরে সকলে বাহবাই জানান!