#নয়াদিল্লি: পৃথিবী কি ধ্বংস হতে চলেছে? অন্তত বাইবেল ধর্মের প্রচারকরা সেই ইঙ্গিতই পাচ্ছেন৷ প্রচারক পল বেগলেই বিশ্বাস করেন যে শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে৷ একের পর এক ঘটনা সেই ইঙ্গতিই দিচ্ছে৷ বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ তারই এক উদাহরণ৷ এর মাধ্যমে স্পষ্ট হচ্ছে যে শেষ হতে চলেছে পৃথিবী এবং আবারও মানবজাতির মুক্তিতে প্রভু যীশু আবির্ভাব ঘটবে৷
এই ধ্বংসের ত্বত্তকে আরও জোরদার করতে সম্প্রতি মরুভূমিতে তুষারপাতের উদাহরণ তুলে ধরেছেন ধর্মগুরুরা৷ তাঁদের মতে যে মরুভূমিতে প্রচন্ড গরম, তাপ থাকে, জলের অভাবে প্রাণ যায়, সেখানে তুষারপাত খুবই অস্বাভাবিক একটা ঘটনা৷ এর মাধ্যমে আরও একবার প্রমাণিত হচ্ছে যে মুছে যেতে চলেছে পৃথিবীর অস্বিত্ব৷
৫০ বছরে প্রথমবার সৌদি আরবের আসির প্রদেশে তুষারপাত হয়েছে৷ মারাত্মক তুষারপাতের ফলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে চলে যায়৷ -২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল তাপমাত্রা৷ আলজেরিয়ার আইন সেফ্রায়ও তুষারপাত হয়৷ একে গেটওয়ে অব সাহারা বলা হয়৷ মূলত এই এলাকার তাপমাত্রা উর্দ্ধমুখীই থাকে৷ এভাবে তাপমাত্রার হেরফের যেন প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে৷ যা কখনও হয়নি, তেমনই সব আশ্চর্যের ঘটনার সাক্ষী থাকছে বিশ্ববাসী৷ একেই ধ্বংসের শুরু বলে মনে করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন একই চিতায় পুড়েলন স্বামী-স্ত্রী! ৮ মাসের মধ্যেই ছাড়খার হল সংসার, দেখুন ভিডিও
ইজরায়েল ৩৬৫ নিউজে বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী দেখানো হয়৷ সেখানে ধর্মজাজক ইশায়াহের ভবিষ্যদ্বাণীর কথা তুলে ধরা হয়েছে যেখানে তিনি জানান যে, মরুভূমিতে ফুল ফুটলেই পৃথিবী শেষ ধরে নিতে হবে! এই ধরণের মন্তব্যের ফলে সাধারণ মানুষের মনেও সন্দেহ দানা বাঁধছে৷ সবাই প্রশ্ন করছেন, তাহলে কি সত্যিই পৃথিবী শেষের পথে? যেভাবে করোনার প্রকোপে মৃত্যুর মিছিল দেখেছে গোটা বিশ্ব, ঘরবন্দি হয়েছে, তারপর অনেকেরই মনের জোর ভেঙেছে৷ আধ্যাতিকতাই শেষ, ঈশ্বরের পথেই মুক্তি, মানতে শুরু করেছেন অনেকে৷ এছাড়াও বেড়েছে ভূমিকম্পের হারও৷
শুধু মরুভূমি নয়, এবার নয়াদিল্লিতেও ঠাণ্ডা পড়েছিল অতিরিক্ত৷ গত ১১৯ বছরে এত কম তাপমাত্রা দেখেনি দিল্লিবাসী৷ অন্যদিকে ১৯৭১-র পর এবার স্পেনেও ভয়ঙ্কর তুষারঝড় হয়৷ যদিও ধর্মের ভিত্তিতে এগুলিই অশনী সংকেত বলে মনে করছেন, তবে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা বলছেন যে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটছে এবং তা মানবজাতি অত্যাচারের ফল! অহরহ গাছ কেটে ফেলা, বাঁধ তৈরি সহ আরও নানাভাবে ধ্বংস হচ্ছে আবহাওয়ার ভারসাম্য৷ তার ফলেই এই ধরণের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে৷ বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে, কার্বোনের মাত্রা অনেকটা বেড়েছে৷ যার জেরে সার্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে৷ বা কোথাও ঠান্ডা বাড়ছে৷