#তাইল্যান্ড: আচমকাই বাড়ির প্রিয় পোষ্য বিড়ালকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু সেই না খুঁজে পাওয়া যে এতটা মর্মান্তিক ও ভয়ঙ্কল হবে তা হয়তো কেউ জানতেন না। বৃদ্ধ হয়ে মারা গেলেও পোষ্য হারানোর দুঃখ যে কোনও মানুষের কাছেই কষ্টকর। কিন্তু এভাবে প্রিয় পোষ্যটির মৃত্যুর খবরে একেবারে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবারটি। এমনই এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখে পড়েছে তাইল্যান্ডের একটি পরিবার। গত ৪ এপ্রিল প্রিয় পোষ্যকে হারানোর দুঃখ এখনও ভুলতে পারছেন না তাঁরা।
বিড়ালটিকে জ্যান্ত গিলে খেয়েছে একটি বিশালাকার পাইথন। বিড়ালটির নাম ছিল হুরজুন। বিড়ালটির মালিক কাঞ্চি নার্ড। ঘটনায় আতঙ্কিত কাঞ্চি ফেসবুকে ছবিও শেয়ার করেছে পাইথনটির। তার পেটের একটি অংশে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে বিড়ালটি রয়েছে। বাড়ির রান্নাঘরের স্ল্যাবের উপর বিড়ালটিকে জ্যান্ত গিলে খেয়ে সেখানে শুয়েই খাবার হজম করছে সাপটি। গায়ে আঁকা নীলচে-হলুদ ও কালোর রঙের বরফি আকৃতির ছোপ।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বিড়ালটির মালকিন লিখেছেন, তাঁর মেয়ে বাড়ির পিছনের বাগানে বিড়ালটিকে দীর্ঘ সময় ধরে খুঁজেছে। কিন্তু কোথাও তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে রান্নাঘরে এই কাণ্ড দেখতে পাওয়া যায়। রান্নাঘরে ঢুকে এই কাণ্ড দেখেই মেয়ে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে। তিনি লিখেছেন, 'এটা খুবই মর্মান্তিক ঘটনা। বিকেল তিনটে সময় বাড়ির পিছন দিকে একবার দেখা গিয়েছিল বিড়ালটিকে। পরে ফের খুঁজতে বেরিয়ে না পেয়ে শেষ রান্নাঘরে দেখা যায় পেটের ভিতর নড়চড়া করছে প্রিয় পোষ্য।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ছবি ও ভিডিও। বন দফতরকে ফোন করে কর্মীদের ডেকে পাঠান ওই বাড়ির সদস্যরা। দুর্ভাগ্যবশত বিড়ালটিকে কোনও ভাবেই বাঁচানো যায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু মানুষ এই ঘটনায় সহমর্মিতা জানিয়েছেন। পাইথন সবচেয়ে বড় সাপের একটি প্রজাতি। এরা সাধারণত নিজের শিকারকে জ্যান্ত গিলে খায়। তার পর দীর্ঘ সময় সেখানে বসেই খাবার হজম করে।