#ক্যানবেরা: ধন্য লিবিডো এনার্জি! পার্কে, সমুদ্রের ধারে বা সিনেমা হলে এমন ঘটনা শোনা যায় হামেশাই। কিন্তু তাই বলে পার্লামেন্টে? তাও আবার উপাসনা স্থলে? লুকিয়ে চুরিয়ে নয়, একেবারে খোলাখুলি। ফাঁস হয়ে যাওয়া দুটি ভিডিও নিয়ে নতুন করে উত্তাল অস্ট্রেলিয়া। এমনিতেই দেশে বন্যা পরিস্থিতিতে সরকারের অবস্থা কাহিল। তাছাড়াও সাম্প্রতিক সময় একাধিক যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে তোপের মুখে পড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে। দেশজুড়ে যা নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি কয়েকদিন ধরেই চলছিল।
এবার একেবারে হাটে হাড়ি ভাঙা যাকে বলে! একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পার্লামেন্ট চত্বরে খানিকটা ভেতরে খোলাখুলি যৌনতায় লিপ্ত দুই কর্মী। ডিউটি ভুলে আদিম রিপুর খেলায় মত্ত। আর একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক মহিলা সাংসদের ডেস্কের ওপর আপত্তিকর ভঙ্গিতে এক মহিলা এবং পুরুষকে। কাম উত্তেজনায় দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে সরকারি কর্মীদের একটি গ্রুপ চ্যাটে প্রথমে ভিডিওগুলো শেয়ার করা হয়। সেখান থেকেই বাইরে ছড়িয়ে পড়ে। মহিলা সাংসদরা তো বটেই, ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিরোধিতায় মুখর আম জনতা। গ্রুপ চ্যাটে থাকা এক ব্যক্তির দাবি পার্লামেন্টের কর্মী এবং সাংসদরা প্রায় সময় সেখানকার একটি উপাসনা স্থলে গিয়ে যৌনতায় লিপ্ত হন। এমনকি কিছু এম পি- র নির্দেশে বাইরে থেকে যৌনকর্মীদেরও ভাড়া করে আনা হত। রীতিমত অর্গি পার্টির আয়োজন করা হত।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন ক্যানবেরায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে লজ্জায় মাথা নত করেন। তিনি জানান এমন ঘটনা শুধু লজ্জাজনক নয়, দেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত অপমানজনক। এই ঘটনায় আপাতত এক ব্যক্তিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনায় দেশের ভাবমূর্তি যে খারাপ হয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন মরিসন। দেশের মানুষকে আশ্বাস দিয়েছেন দোষী প্রমাণিত হলে কাউকে রেহাই করা হবে না। সুতরাং বরখাস্ত হওয়ার তালিকা যে দীর্ঘ হতে চলেছে সন্দেহ নেই।