কথায় বলে, রাখে হরি মারে কে! কিন্তু ঈশ্বর এবং তাঁর সৃষ্ট মানুষের কল্যাণে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা বিড়াল যে পরিবেশমন্ত্রকের ভার সামলাবে, সেটা কি লাগামছাড়া কল্পনাতেও বুঝে ওঠা সম্ভব?
কিন্তু পৃথিবীর মজাই তো এই- এখানে কোন মুহূর্তে কী ঘটে যাবে, তা আগে থেকে বলা মুশকিল! তাই যখন জানা গেল যে উদ্ধার হওয়া বিড়াল উন্নীত হয়েছে মন্ত্রীর পদে, তখন সারা বিশ্বের চোখ উঠল কপালে!
খবর বলছে যে এ হেন ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে রাশিয়ার মস্কো শহর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরের ইউলিয়ানভস্ক শহরে। সেখানে সম্প্রতি মিখাইল টুকাশ নামের এক আবর্জনা সাফাইকর্মী গারবেজ মেশিনে ছুড়ে ফেলার আগে ব্যাগুগলো পরীক্ষা করে দেখছিলেন। এমন সময়ে তাঁর মনে হয় যে একটা সাদা প্লাস্টিকের থলিতে খুব নরম কী একটা যেন রয়েছে! সেটা একটু হলেও নড়াচড়া করছে!
জানা গিয়েছে যে এর পর আর দেরি না করে ওই থলিটার মুখ একটু ছিঁড়ে দেখেন মিখাইল! তার পরেই থলি থেকে একজোড়া চোখ তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকে। বিস্মিত মিখাইল অতঃপর থলির পুরোটা ছিঁড়ে বের করে আনেন এক অসহায় বিড়ালকে। যার মালিক তাকে এ ভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল!
ঘটনাটা প্রকাশ্যে আসার পর ইউলিয়ানভস্কের আঞ্চলিক পরিবেশ মন্ত্রক বিড়ালটির রক্ষণাবেক্ষণের ভার নিয়েছে বলে খবর! শুধু তা-ই নয়, তারা আপাতত এই বিড়ালটিকে আনঅফিসিয়ালি পরিবেশমন্ত্রীর পদে বহাল করেছে। নতুন এই দায়িত্ব পেয়ে বিড়ালটিও বেশ খুশি! ওই শহরের টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গিয়েছে যে সে পরিবেশমন্ত্রীর কুর্সিতে নিশ্চিন্তে বসে ঘুম দিচ্ছে, মানিয়ে নিচ্ছে নিজেকে নতুন দায়িত্বের সঙ্গে!
খবর মোতাবেকে, তার উদ্ধারকর্তা মিখাইলকেও আনুষ্ঠানিত ভাবে সংবর্ধনা দিয়েছে ইউলিয়ানভস্ক পরিবেশ মন্ত্রক। পশুচিকিৎসক এসে পরীক্ষা করে বলেছেন যে বিড়ালটি বহাল তবিয়তেই আছে। ফলে দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে আপাতত সরকারি তরফে নতুন মন্ত্রীর নামকরণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে জনতাকে।
পাশাপাশি, ওই শহরের আসল পরিবেশমন্ত্রী গুলনারা রখমতুলিনা ব্যক্তিগত ভাবে একটি অনুরোধও রেখেছেন নাগরিকদের প্রতি। তাঁর আর্জি- এ ভাবে মেরে ফেলার চেষ্টা না করে সবাই যেন পোষ্য পালনে অপারগ হলে তাদের
অন্যত্র স্থান্তরিত করার চেষ্টা করেন!Written By: Anirban Chaudhury
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।