#রাশিয়া: সংক্রমণ কিছুটা হলেও নিম্নগামী। কিন্তু করোনাভাইরাস এখনও বিদায় নেয়নি। তাই প্রতিটি দেশের প্রশাসনের তরফে প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। একটু অবহেলা করলেই বড় বিপদ হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে কিছু মানুষজন আবার অপরিণামদর্শী কাজ করছেন। অনেককেই নিয়ম ভাঙতে দেখা যাচ্ছে। খানিকটা এরকমই পরিস্থিতির শিকার রাশিয়ান এয়ারলাইন অ্যারোফ্লোট (Aeroflot)। তবে তার উপায়ও বের করে ফেলেছে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা। সংস্থার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাঁরা মাস্ক পরবেন না, তাঁদের জন্য আলাদা সিট বরাদ্দ করা হবে।
সম্প্রতি এক প্রেস বিবৃতিতে, রাশিয়ার বিমান সংস্থা অ্যারোফ্লোট-এর মুখপাত্র ইউলিয়া স্পিভাকোভা জানিয়েছেন, বিমানে যাত্রা করতে হলে মাস্ক পরাটা বাধ্যতামূলক। মাস্কটি এমনভাবে পরতে হবে, যাতে নাক-মুখ ভাল করে ঢাকা থাকে। সমস্ত রকমের প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলতে হবে যাত্রীদের। কিন্তু অনেকেই সেই নিয়ম পালন করছেন না। এ'বার যাঁরা মাস্ক পরার নিয়ম মানবেন না, তাঁদের জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মাস্ক না পরে বিমানে যাত্রা করতে চাইলে, সেই নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রীদের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা ও কিছু বিশেষ সিট বরাদ্দ করা থাকবে। সাধারণ যাত্রীদের থেকে এই নির্দিষ্ট সংখ্যককে আলাদা করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বিমান সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। বিমান সংস্থা অ্যারোফ্লোটের তরফে আরও জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার জেরে একসময়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এর ফলে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। পরে সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ার জেরে ধীরে ধীরে পরিষেবা শুরু হয়। ব্রিটেন, তুরস্ক, তানজানিয়া-সহ একাধিক গন্তব্য বিমানের উড়ান চালু হয়। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে উড়ানকালে একাধিক স্বাস্থ্যবিধির উপর জোর দেওয়া হয়েছে রাশিয়ার প্রশাসনের তরফে। কিন্তু এখনও অনেকেই সেই স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে উদাসীন। কেউ কেউ ইচ্ছে করেই নিয়ম ভাঙছেন। আর সেই সূত্রেই এমন পদক্ষেপ করল অ্যারোফ্লোট।
প্রসঙ্গত, সংক্রমণ এড়াতে রাশিয়ার প্রশাসনও একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি মাস্ক পরা নিয়েও বেশ কড়াকড়ি রয়েছে এখানে। পথচারী থেকে শুরু করে দোকানদার, সবার জন্যই মাস্ক পরাটা বাধ্যতামূলক। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অর্থাৎ বাস-মেট্রোয় চড়লে মাস্কের পাশাপাশি হাতে গ্লাভস পরাও আবশ্যক। একই নিয়ম বহাল রয়েছে সুপার মার্কেট, রেস্তোরাঁ, বড় দোকান থেকে শুরু করে যে কোনও জনবহুল জায়গায়। ভিড় এড়িয়ে যাওয়াটাও বাধ্যতমূলক। তবে সংক্রমণের ভয় থাকলেও প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে উদাসীন এখানকার একাধিক এলাকার মানুষজন। নানা প্রান্ত থেকে অভিযোগও আসছে প্রশাসনের কাছে।
বলা বাহুল্য, করোনা থাবায় জর্জরিত রাশিয়াও। প্যানডেমিকের শুরু থেকেই রাশিয়ার নানা প্রান্ত থেকে সংক্রমণের খবর আসতে থাকে। ইতিমধ্যে এখানকার প্রায় ২.৭ মিলিয়ন মানুষ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ৪৮,০০০ জনের।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Russia