#কলম্বো: সংশোধনাগারে বন্দিদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৮ বন্দির। অগ্নিসংযোগ থেকে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন জেলার-সহ আরও ৩৭ জন। রবিবার সাংঘাতিক এই ঘটনা ঘটেছে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে মাহারা সংশোধনাগারে।
সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, রবিবার বন্দিদের মধ্যে বেশ কয়েকজন দরজা ভেঙে পালানোর চেষ্টা করছিল। তা নজরে আসে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের। তৎক্ষণাৎ খবর যায় উচ্চতর মহলে এবং বন্দিদের আটকাতে বিশাল বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হয়। আর ঠিক সেখানেই বাধে সমস্যা। কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলো দিতে নিজেদের মধ্যে অশান্তি শুরু করে তারা। সেই ঘটনা সামাল দিতে আসরে নামে বিশাল পুলিশবাহিনী।
পুলিশের মুখপাত্র অজিত রোহানা জানিয়েছেন, "রবিবার রাতে একদল বন্দি বলপূর্বক দরজা ভেঙে যখন পালানোর চেষ্টা করছিল, তখন তা কর্তৃপক্ষের নজরে চলে আসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। দাবি, সেখানেই পুলিশকে ধন্ধে ফেলতে নিজেদের মধ্যে অশান্তি শুরু করে বন্দিরা। সোমবার সংবাদ সংস্থা PTI-কে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ দিন রাতে বন্দিরা রান্নাঘর এবং একটি রেকর্ড রুমে আগুন ধরিয়ে দেয়। রোহানা জানিয়েছেন, ২ জেলার-সহ ৩৭ জন বন্দি এই সংঘর্ষে আহত হয়েছে। তাঁদের সকলকে নিকটবর্তী রাগামা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই সকলের চিকিৎসা চলছে।
রোহানা জানিয়েছেন, "আক্রমনাত্বক বন্দিরা জেলারকে নিজেদের হাঁতে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা বিফলে যায়।" কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল? সূত্রের খবর, কলম্বোর অদূরে এই সংশোধনাগারটি বন্দিপূর্ণ। সেখানে তিল ধারণের জায়গা নেই। করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে সামাজিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক, সেখানে এই জায়গায় বন্দিদের প্রায় ঠেসাঠেসি করে থাকতে হচ্ছে। তা নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। বন্দিদের দাবি ছিল, করোনা সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, তাতে সংশোধনাগারে বন্দিদের সংখ্যা কিছুটা হ্রাস করা হোক। কিন্তু সে কথায় কান দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তা নিয়েই সপ্তাহখানেক ধরে অশান্তি চলছে।