#লন্ডন: করোনার নতুন স্ট্রেনে রাতের ঘুম উড়েছে ব্রিটিশদের। প্রায় এক ঘরে হয়ে পড়ার জোগাড়। প্রতিবেশী রাষ্ট্র মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর অবস্থা আরও শোচনীয় ব্রিটেনেবাসীর। পরে অবশ্য আলোচনা করে ফ্রান্স সীমান্ত খুলেছে। প্রায় আট কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে ট্রাকের সারি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন আগামী কয়েক মাস কঠিন নিয়মে থাকতে হবে গোটা দেশকে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মিত্র দেশগুলিকে পাশে থাকতে বলেছেন।
এমন অবস্থায় প্রিন্স উইলিয়াম এবং তাঁর স্ত্রী কেট মিডলটন এমন একটি কাণ্ড ঘটালেন যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। করোনা বিধি ভাঙার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। নরফকে এখন টিয়ার টু লকডাউন চলছে। কোনও অবস্থা থেকে একসঙ্গে ছয় জনের বেশি পথ চলা বারণ। কিন্তু শুধু কেট বা উইলিয়াম নন, রানীর সন্দ্রিংহ্যাম প্রাসাদে একসঙ্গে দেখা গেছে প্রিন্স এডওয়ার্ড, তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান ছাড়াও কেটের তিন সন্তানকে। অর্থাৎ মোট নয়জন। এই নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম অভিযোগ তুলেছে দেশের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে নিয়ম ভেঙে মেলামেশা করছেন রাজ পরিবারের সদস্যরা।
দেশের মানুষের কাছে খারাপ বার্তা পৌঁছবে। রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে আত্মীয় স্বজনের মধ্যে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা বেশ কঠিন। তাছাড়া বেশ কয়েকজন বাচ্চা সঙ্গে ছিল, রাস্তার দৈর্ঘ্য খুব বেশি ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় অবশ্য সবাই যে তাঁদের মুণ্ডপাত করেছেন এমন নয়। কেউ বলেছেন ক্ষমা করে দিতে, কেউ বলেছেন ছুটির আনন্দে মাথায় ছিল না নিয়ম কানুন। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পর্যন্ত কটাক্ষ করতে ছাড়েনি।
ব্রিটিশ সরকারের নিয়ম-কানুন রাজ পরিবারের সদস্যরাই যদি না বুঝে উঠতে পারেন, তাহলে সাধারন জনগন কী ভাবে বুঝবেন, প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে তাঁরা।তবে কেট এবং উইলিয়াম সমালোচিত হয়েছেন, তার একটা বড় কারণ কদিন আগেই একটি বিশেষ ট্রেনে গোটা দেশ ঘুরে কোভিড পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করা মানুষদের বিশেষ সার্টিফিকেট প্রদান করেছিলেন তাঁরা। কিছু সংবাদমাধ্যম নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।