#নয়াদিল্লি: চলতি মাসের শেষের দিকে ভারত সফরে আসার কথা ছিল ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। তবে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলে তিনি জানিয়েছেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারত সফরে আসা সম্ভব হবে না তাঁর পক্ষে। যদিও গত মাসেই প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছিলেন, ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে তিনি যে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন, এতে তিনি খুবই খুশি।
ভারত-ব্রিটেনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গোটা ছবিটাই বদলে দিল নয়া করোনা স্ট্রেন, যাকে নিয়ে এই মুহূর্তে নাজেহাল ব্রিটেন। আগের থেকে বেশি সংক্রামক এই নতুন করোনা স্ট্রেন। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে, সোমবার সে দেশে ফের পুরোদমে লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। তাঁর মতে, করোনার নতুন স্ট্রেনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে, এমন সিদ্ধান্ত নিতেই হত। সোমবার পর্যন্ত, দেশে প্রায় ২৭,০০০ মানুষ হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হয়ে। এই নতুন করোনা স্ট্রেনের উপস্থিতিতে, ফের সারা বিশ্বে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও এসেছে বিধিনিষেধ। যাতায়াতের ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ জারি করা সত্ত্বেও, এই নতুন স্ট্রেন ছড়িয়ে পড়েছে ৩০টিরও বেশি দেশে। ভারতেও যুক্তরাজ্য থেকে ফেরা ৫৮ জনের শরীরে মিলেছে করোনার নতুন স্ট্রেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে এর আগে জানানো হয়েছিল, ভারত সফরকে কাজে লাগিয়ে, দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং সুরক্ষা বিষয়ক সমস্যাগুলি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করবেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। শুধু তাই নয়, ব্রিটেন ইওরোপিয়ন ইউনিয়ন ছেড়ে আসার পর, এটিই হতে চলেছিল ব্রিটেনের তরফে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। তবে প্রধানমন্ত্রী জনসন জানিয়েছেন, চলতি বছরের মাঝামাঝি তিনি ভারত সফরে আসতে পারবেন বলে আশা রাখছেন।