#লাহোর: পুরুষ বন্ধুকে প্রেমের প্রস্তাব মহিলার৷ প্রেমে সাড়া দিয়ে মহিলাকে টেনে তুলে জড়িয়ে ধরলেন পুরুষ বন্ধুটি এবং মহিলার হাত থেকে নিলেন গোলাপের তোরা৷ সকলের সামনে জমে গেল প্রেম৷ পুরো ঘটনাটাই হল পাকিস্তানের লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতর৷ আশপাশে দাঁড়িয়ে থাকা সকলেই খুব অবাক হলেন প্রথমে, তারপর প্রেমের জোয়ারে গা ভাসালেন! ক্যাম্পাসের মধ্যেই তৈরি হল এক প্রেমের মিষ্টি ছবি৷ পাকিস্তানের মতো রক্ষণশীল দেশে এভাবে খুল্লামখুল্লা মহিলার প্রেম নিবেদন যেন ভাল চোখে দেখলেন না অনেকে৷ তাই তো ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হল হইচই৷
এভাবে লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতর প্রেম নিবেদন ও পড়ুয়াদের আচরণে ক্যাম্পাসের ভিতর শৃঙ্খলা নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের৷ ওই মহিলা ও তাঁর বিশেষ বন্ধুকে ডেকে পাঠানো হয়৷ তবে তাঁরা উপস্থিত না হওয়ায়, তাঁদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি৷ তাঁরা আর কোনওভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন এই দু’জন, এমন অভিযোগ৷ তাই তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷ গোটা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কোথাও যেন তাঁদের দেখা না যায়, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
The University of Lahore has expelled both students Hadiqa Javed and Shehryar Ahmed for embracing, giving flowers and presenting each other on the campus.
— Hamza Javed (@hamzajaved261) March 12, 2021
What's your take on Proposal? #UniversityOfLahore #proposal pic.twitter.com/KLILurngBi
এমন প্রেম নিবেদনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে, নানা মত ও প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে৷ ভাইরাল ভিডিও বহু মানুষের মনে ধরেছে৷ অনেকে আবার বলছেন যে, তাদের কোঠর সাজা মহব্বতে ছবির অমিতাভ বচ্চনকে মনে করিয়ে দিয়েছে৷ ছবিতেও দেখানো হয়েছিল ক্যাম্পসে কোনও প্রেম নয়! প্রাক্তন ক্রিকেটার ওয়াসিম আক্রমের স্ত্রী শানিয়েরা আক্রম ট্যুইট করে বলেন যে, ক্যাম্পাসে নিয়ম নিষ্ঠা অবশ্যই বজায় থাকবে, তবে প্রেমও তাড়ানো যায় না! যৌবনই তো প্রেমের সাক্ষী৷