#ওন্টারিও:
পৃথিবীর সব থেকে পুরনো জল! কেউ কেউ আবার বলছেন, পৃথিবী সৃষ্টির পর সবার প্রথমে এই জলই ছিল মাটির নিচে> এক-দু বছর নয়, ১৬০ কোটি বছরের পুরনো এই জলের খোঁজ পেয়েছেন টরন্টো ইউনিভার্সিটির আইসোটোপ জিও কেমিস্ট্রির ভূ-রসায়নবিদরা। বিশ্বের সব থেকে পুরনো জলের খোঁজ করছিলেন তাঁরা গত দুদশক ধরে। এই জল কানাডা সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি মিউজিয়ামে যত্নসহকারে রাখা রয়েছে। বলা হচ্ছে, বিশ্বের সব থেকে পুরনো জল এটাই। এই জল নিয়ে এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।যে ল্যাবরেটরিতে এই জলের পরীক্ষা চলছে সেখানকার টেকনিশিয়ান বারবারা জানিয়েছেন, এই জল পরীক্ষা করে জানা যেতে পারে, সৌরমণ্ডলের অন্য কোনও গ্রহে কখনও প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা! বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর সব থেকে পুরনো এই জল অত্যন্ত নোনতা স্বাদের। এই জল সমুদ্রের জলের থেকেও দশ গুণ বেশি নোনতা। বারবারা শেরউড আরও জানিয়েছেন, পৃথিবীর সব থেকে পুরনো এই জলের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ম নামের একটি তত্ত্ব রয়েছে। সেই তত্ব বি্শ্লেষণের মাধ্যমে পৃথিবীর সৃষ্টি সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
আপাতত এই জলের স্যাম্পেল কানাডার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি মিউজিয়ামে রাখা রয়েছে।
কানাডার ওন্টারিওর উত্তর দিকে টিনিন্স নামক একটি জায়গার খাদানে এই জলের খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা। কিডস ক্রিকে মাইক্রোবিয়াল লাইফ-এর অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ দেয় এই জল। পৃথিবীর পুরনো জলের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে অন্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব কখনো ছিল কিনা তা জানার সহজ হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তা ছাড়া এই জল মাটির নিচের অংশে থাকা মাইক্রোবাস-দের জীবনচক্র সম্পর্কেও ধারণা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া এই জলের বিশ্লেষণ পৃথিবীর আদি ইতিহাস সম্পর্কেও ধারণা দিতে পারে। মাটির নিচের জীবন সম্পর্কেও একাধিক তথ্য উঠে আসতে পারে বিজ্ঞানীদের হাতে। তবে সবটাই বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার বলে জানিয়ে দিয়েছেন ভূ-রসায়নবিদরা।নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।