#নয়াদিল্লি: বেশ অনেক দিন হয়ে গেল আমরা সবাই করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে আছি। যাঁদের বাড়িতে বয়স্ক সদস্য আছেন বা ছোট বাচ্চা আছে, তাঁরা আরও অনেক বেশি চিন্তিত হয়ে আছেন। কেন না বার বার সতর্ক করে দিচ্ছে নানা মেডিক্যাল বুলেটিন- বয়স্ক আর ছোটরা এই ভাইরাসের কাছে অনেক বেশি অসহায়!
বয়স্কদের নিয়ে চিন্তা করার যথাযথ কারণ আছে। কারণ বেশি বয়স হওয়ার দরুন তাঁরা এমনিতেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। তাঁরা যদি ভাইরাস আক্রান্ত হন, তা হলে সেই রোগগুলো আরও বেশি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। কিন্তু শিশুদের এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা কতটা, সেটা আমরা এখনও জানি না। আমরা এটাও জানি না এই ভাইরাস বাচ্চাদের শরীরে কী ভাবে প্রভাব ফেলে। আর তাই বাবা-মায়েরা অনেক বেশি চিন্তিত আছেন তাঁদের সন্তানকে নিয়ে!
যে সব পরিবারে বাবা-মা দু'জনেই চাকুরীজীবী, তাঁদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার আর ক্রেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু করোনা আতঙ্কে তাঁরা এখন বাচ্চাদের বেশিরভাগ সময়ই বাড়িতে বন্দী রাখছেন এবং ডে কেয়ার বা অন্যান্য কোনও চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে পাঠাচ্ছেন না। যদিও আমেরিকার মতো দেশ এই সব ক্ষেত্রে নিজেদের নিয়ম আস্তে আস্তে শিথিল করছে। একটা-দু'টো করে স্কুল খুলছে এবং তার পাশাপাশি চাইল্ড কেয়ার সেন্টারও খুলছে। কিন্তু খবর বলছে যে কিছু বাবা-মা এখনও সেখানে নিজেদের সন্তানকে পাঠাতে ভরসা পাচ্ছেন না। তাঁদের মনে হচ্ছে যে এতে তাঁদের সন্তান করোনা-আক্রান্ত হতে পারে। এই আশঙ্কা একেবারে যে অমূলক তা কিন্তু নয়। কারণ আগেই বলেছি শিশুদের উপরে এই ভাইরাস কী ভাবে কাজ করে বা শিশুরা কতটা প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম- সেই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সম্যক ডেটা কারও কাছে নেই।
যদিও সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে যে বিভিন্ন চাইল্ড কেয়ার সেন্টার, যেখানে ছয় বছরের কমবয়সী শিশুদের দেখাশোনা করেন কর্মীরা, তাঁদের থেকে শিশুদের মধ্যে কোভিড ১৯ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কম। পেডিয়াট্রিক্স বলে একটি পত্রিকায় এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। যে চাইল্ড কেয়ার সেন্টারগুলি খুলছে, সেগুলি আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব পেডিয়াট্রিক্স যা নিয়ম বলে দিয়েছে সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে, ফলে কোভিড ১৯ সংক্রমণের আশঙ্কা আরও কমে গিয়েছে।
তবে তার মানে কিন্তু এই নয় যে শিশুরা এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে না। যদিও চাইল্ড কেয়ার সেন্টার থেকে খুব একটা সংক্রমণের আশঙ্কা নেই বলেই দাবি করছে খবর!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus