#নিউইর্য়ক: শনিবার অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস বন্ধে কড়া পদক্ষেপ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৷ আমেরিকায় মুসলিম শরণার্থী ও অভিবাসীদের প্রবেশে রাশ টানতে লিখিত নির্দেশ দেন তিনি। মুসলিম অধ্যুষিত দেশের পর্যটকদের আমেরিকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই নিষেধাজ্ঞার জারি করার পর থেকেই চরম হয়রানির মুখ পড়তে হয়েছে এই সাত দেশের নাগরিকদের ৷ দেশগুলি থেকে আসা ব্যক্তিরা মার্কিন মুলুকে প্রবেশ করতে পারছেন না ৷ নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের আটক করা হয়েছে । ট্রাম্প যখন এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন তখন এই সাত দেশের বহু মানুষ মাঝআকাশে ছিলেন ৷ তাই তাদের আটক করা হলে বিমানবন্দরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে তাদের পরিবার পরিজনরা ৷
গতকাল নতুন নির্দেশিকা জারি করার পর থেকেই মার্কিন মুলুকে প্রবেশ নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশাসন ৷ দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে বহু মানুষকে ৷ সূত্রের খবর প্রায় ১০০ থেকে ২০০জনকে আটক করা হয়েছে ৷ তবে সরকারি ভাবে এই নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি ৷
জানুয়ারির ২৮ তারিখ পেন্টাগনে নতুন নির্দেশিকা সই করে ট্রাম্প ৷ তাতে জানানো হয় শরণার্থীদের আমেরিকায় প্রবেশের দরজাটা আপাতত বন্ধ করে দিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ৷ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে নিন্দের ঝড় উঠে সারা বিশ্বে ৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জঙ্গিদের থেকে বাঁচানোর জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প ৷ তবে সমাজকর্মী ও সামাজিক অধিকার রক্ষা কমিটিগুলি ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছেন ৷ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন প্রেসিডেন্ট। পেন্টাগনে ট্রাম্প জানান, ‘ইসলামিক জঙ্গিদের মার্কন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দূরে রাখতে চাই ৷ তাদেরকে দেশে চায়না ৷ আমরা কেবল তাদের আসতে দেবে যারা আমাদের দেশকে ভালোবাসবে ও সাহায্য করবে ৷’
যাদের আটক করা হয়েছে তাদের কী ছেড়ে দেওয়া হবে নাকি দেশে ফিরিয়ে দেওয় তা নিয়ে কিছু জানা যায়নি এখনও ৷ পাশাপাশি একাধিক বিমান সংস্থাকে সাতদেশের নাগরিকদের আমেরিকাগামী বিমানের টিকিট বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর।