ছবিতে যে কম্পাসটা দেখা যাচ্ছে চকোলেট রঙের, যা একটা কাচের ঢাকনা দিয়ে ঢাকা রয়েছে, যে ঢাকনা আবার জোড়া আছে একটা ধাতব শিকল দিয়ে, তা কি দিকনির্দেশ করে?
দিকনির্দেশ করে তো বটেই! তবে সেই দিক মনের পথের। আর পথের হদিশও লুকিয়ে রয়েছে পুরনো প্রবাদে- হৃদয় জয় করতে চাইলে আগে স্বাদকোরককে সন্তুষ্ট করতে হয়!
মানেটা এমন কিছু দুর্বোধ্য নয়- যে কম্পাসটা দেখা যাচ্ছে ছবিতে, তা আদতে একটা খাবার। তা মোড়া রয়েছে চকোলেট দিয়ে। উপরে রয়েছে যে ঢাকনা, সেটাও কাচ দিয়ে তৈরি নয়, ওটাও ভক্ষণযোগ্য। আর ওই শিকলটাও জমাটবাঁধা চকোলেট ছাড়া আর কিছুই নয়!
সম্প্রতি এ হেন এক চকোলেট কম্পাস তৈরি করে সারা দুনিয়ায় তুমুল আলোড়নের সৃষ্টি করেছেন বিখ্যাত পেস্ট্রি শেফ আমাউরি গিচন। আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় এই সেলিব্রিটি শেফকে নিয়ে মাতামাতি বড় একটা কম হয় না। আর তার যুক্তিসঙ্গত কারণও রয়েছে বইকি! মাঝে মাঝেই তিনি এমন সব জিনিস তৈরি করে আমাদের চমকে দেন, যা পেস্ট্রি বলে মনেই হয় না!
এই সারিতে গিচন এর আগে বড়দিনের সময়ে তৈরি করেছেন ক্রিসমাস ট্রি পেস্ট্রি। একবার তো বিশাল আয়তনের এক হাতিই বানিয়ে ফেলেছিলেন তিনি পেস্ট্রি লেয়ার আর চকোলেট দিয়ে। তার পরে এবার তাঁর হাত দিয়ে বেরোল এই চকোলেট কম্পাস। গিচনের বক্তব্য- এটা দিয়েই নতুন বছরের পেস্ট্রি গড়ায় হাত দিয়েছেন তিনি।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে গিচন এই পেস্ট্রি তৈরির একটা ভিডিও শেয়ার করতে ভোলেননি। দেখা যাচ্ছে যে একটা বেকড পেস্ট্রির তাল নিয়ে তার উপরে প্রথমে গলানো চকোলেট ঢেলেছেন তিনি, তৈরি হয়েছে কম্পাসের বডি। এর পর একটা দিকনির্দেশক স্ট্যাম্প নিয়ে তাতে মাখিয়ে নিয়েছেন খাওয়ার যোগ্য গুঁড়ো সোনালি রং। সেই স্ট্যাম্প আলতো করে কম্পাসের উপরিভাগে বসাতেই ছাপ পড়েছে চারটে দিকের। এর পর একটা রঙিন চকোলেটের কাঁটা বসিয়ে দিয়েছেন গিচন তার মাঝে।
আর ওই ঢাকনাটা? সেটার জন্য তিনি ব্যবহার করেছেন চিনির সিরাপ। সেটা জমে গোল হয়ে এলে বসিয়ে দিয়েছেন কম্পাসের বডির উপরে, তার চার ধারে লাগিয়ে দিয়েছেন চকোলেটের শিকল!
তা, এ হেন পেস্ট্রি কী ভাবে খেতে হয়, সেটাও সব শেষে আমাদের দেখাতে ভোলেননি তিনি। হাতে না-ই বা এল, এমন শিল্প চাক্ষুষ করাটাও কি মুখের কথা?